এই ছবি ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
আদর্শ নির্বাচন বিধি ভেঙে রানাঘাট উত্তর পূর্ব কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছেন, এই অভিযোগে শুক্রবারই সরগরম হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। নদিয়া জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। তবে শনিবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। হাঁসখালি ও রানাঘাট ২-এর বিডিও কমিশনকে জানিয়েছেন, তাঁদের এলাকায় এমন কিছু ঘটেনি।
আজ, শনিবার রাজ্যের যে ৪৫টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে, রানাঘাট উত্তর পূর্ব তার একটি। তৃণমূলের অভিযোগ, ‘রাজ বড়ুয়া’ নামে এক জন ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন যাতে দেখা যাচ্ছে রানাঘাট উত্তর পূর্ব কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম বিশ্বাস (অভিযোগপত্রে অবশ্য প্রার্থীর নাম লেখা হয়েছে ‘অভিজিৎ বিশ্বাস’) কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশের লোকেদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছেন। তা সরাসরি বিধিভঙ্গের শামিল। বস্তুত, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই ছবিতে জলপাই পোশাক পরা এক জন এবং জলপাই টুপি পরা এক জনকে অসীম বিশ্বাস এবং আরও কয়েক জনের সঙ্গে খাওয়ার টেবিল দেখা যাচ্ছে। এ দিন দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের তরফে আবার দাবি করা হয়, ছবিটি ফাঁসিদেওয়ার।
রানাঘাটের অসীম বিশ্বাস অবশ্য দাবি করছেন, তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীদের তৃণমূল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান বলে চালানোর চেষ্টা করছে। তাঁর বক্তব্য, গত ১১ এপ্রিল রাতে তাঁর কেন্দ্রের অন্তর্গত যুগলকিশোর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাবণপোঁতা বুথে প্রচার সেরে সেখানেই এক কার্যকর্তার বাড়িতে তাঁরা খাওয়া-দাওয়া সারেন। তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকারের দেওয়া দু'জন নিরাপত্তা রক্ষী এবং কার্যকর্তারা ছিলেন। পরে দলেরই এক কর্মী তাঁদের খাওয়ার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। তবে ‘রাজ বড়ুয়া’ নামে কাউকে তিনি চিনতে পারেননি। অসীমের দাবি, “ওখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কেউ ছিল না। যে কেউ তদন্ত করে দেখতে পারে। তৃণমূল মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।” তাঁর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সমীর পোদ্দার পাল্টা দাবি করেন, “কোনও অপপ্রচার নয়। ওখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মীরা ছিল। সবাই সেটা দেখেছে।”
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার আবার দাবি করেন, ছবিটি ফাঁসিদেওয়ায় বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতির সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের খাওয়া-দাওয়ার। তাঁর দাবি, “বিজেপি যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করছে, এটা তারই প্রমাণ।” জেলা বিজেপি অবশ্য গোটা বিষয়টি ‘ভোটের আগে অসত্য প্রচার’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy