দীপেন্দু বিশ্বাস।
সকালে যোগ দিলেন তৃণমূলে। দুপুরে জানতে পারলেন, ভোটের টিকিট পেয়েছেন।
প্রার্থী নিজে যতটা না অবাক, তাঁর দলের লোকজনও কম বিস্মিত নন। শুক্রবারই তৃণমূল ভবনে গিয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজার হাত থেকে দলের পতাকা নিয়ে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। দুপুরে জানা গেল, বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হলেন বসিরহাট শহরের চক্ষু চিকিৎসক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়। দীপেন্দু বিশ্বাসের জায়গায় আনা হল তাঁকে। রাজনীতিতে আনকোরা প্রার্থী পেয়ে দলের অনেকে হতাশ। দীপেন্দু নিজেও জানাচ্ছেন সে কথা।
বসিরহাটের কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সপ্তর্ষী বলেন, ‘‘বন্ধুদের কথায় শুক্রবার সকালে তৃণমূলে যোগ দিই। দুপুরে যখন অপারেশনের টেবিলে ছিলাম, সে সময়ে এক সহকর্মী জানালেন, বসিরহাটে নাকি প্রার্থী হিসাবে আমার নাম ঘোষণা হয়েছে।’’
সপ্তর্ষি জানালেন, এক সময়ে মেডিক্যাল কলেজের চাকরি ছেড়ে এসেছিলেন বসিরহাটের মানুষের সেবা করতে। পড়াশোনা এবং মানুষের সেবা করতে গিয়ে আগে কখনও রাজনীতি করার সময় পাননি। তাঁর কথায়, ‘‘দিদি প্রার্থী করায় আমি অভিভূত।’’
এ দিকে দীপেন্দুকে প্রার্থী না করায় ক্ষুব্ধ বসিরহাটের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের একাংশ। স্থানীয় মানুষও অনেকে অখুশি। তাঁদের কথায়, পানীয় জল, কংক্রিটের রাস্তা, পাড়ায় পাড়ায় আলো, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, মাতৃসদন-সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন দীপেন্দু।
এ দিন বসিরহাটের সভায় যোগ দিতে কলকাতার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দীপেন্দু। পথে জানতে পারেন, টিকিট পাচ্ছেন না। দীপেন্দু বলেন, ‘‘বসিরহাটের মানুষের জন্য এত কাজ করার পরে খবরটা শুনে প্রথমে আমার বিশ্বাস হয়নি। গত ৫ বছরে বসিরহাটের উন্নয়নের জন্য অনেক কষ্ট করেছি। তাই খুব কষ্ট হচ্ছে।’’
দল ছাড়া বা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন কি?
দীপেন্দু বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে বিজেপির অনেকে যোগাযোগ করলেও তৃণমূল ছাড়ার কোনও পরিকল্পনা এখনও নিইনি। বা সময় হয়নি, তা-ও বলতে পারেন।’’
বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তারক ঘোষ বলেন, ‘‘পদ্ধতি মেনে যদি দীপেন্দু আমাদের দলে যোগ দিতে চান, তা হলে তাঁকে স্বাগত জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy