এক কর্মী নিজেই নমুনা সংগ্রহ করছেন। শুক্রবার, হাওড়ার শৈলেন মান্না স্টেডিয়ামে। নিজস্ব চিত্র।
গণনাকর্মী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের করোনা পরীক্ষা করা নিয়ে শুক্রবার চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা হল হাওড়ার শৈলেন মান্না স্টেডিয়ামে। করোনা-বিধি শিকেয় তুলে ভাঙচুর থেকে হাতাহাতি কিছুই বাদ গেল না। পাশাপাশি পরীক্ষা না করেই নেগেটিভ রিপোর্ট আদায় করার অভিযোগে বাতিল হয়ে গেল এ দিন অনেকের কোভিড পরীক্ষা। আজ, শনিবার ফের তাঁদের পরীক্ষা হওয়ার কথা।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো হাওড়ার বিভিন্ন গণনাকেন্দ্রের জন্য ভোটকর্মী ও এজেন্ট মিলে ১৪০০ জনের করোনা অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই মতো এ দিন সকাল থেকেই ওই স্টেডিয়ামের ক্লাব হাউস ও সংলগ্ন মাঠে গণনাকর্মী ও এজেন্টদের দীর্ঘ লাইন পড়ে। যাঁদের পরীক্ষা হবে, তাঁদের একটি ফর্ম ভর্তিকরতে দেওয়া হচ্ছিল। তার পরেই দেওয়া হচ্ছিল টেস্ট কিট। টেস্টের জন্য রাখা ছিল ১০টি টেবিল। কিট নিয়ে নির্দিষ্ট টেবিলে গেলে স্বাস্থ্যকর্মী সেই পরীক্ষা করে নিচ্ছিলেন। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে পাওয়া যাচ্ছিল ফলাফল। ফল নেগেটিভ এলেই মিলছিল গণনাকেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি।
প্রথমে কোভিড পরীক্ষা ঠিকঠাক শুরু হলেও এক স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ভোটকর্মী ও এজেন্টরা যে যার মতো নিজেরাই কিট নিয়ে পরীক্ষা করতে শুরু করেন। কে আগে কিট নেবেন তা নিয়ে এক প্রস্থ হুড়োহুড়ি, হাতাহাতি শুরু হয়। ভেঙে পড়ে ক্লাব হাউসের লোহার রেলিং। অনেক এজেন্টই অভিযোগ তোলেন, কেউ কেউ জোর করে নেগেটিভ লিখিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে নিয়েছেন। ফলে কেউ পজ়িটিভ থাকলে সংক্রমণ মারাত্মক ভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
রামরাজাতলার ধাড়সা থেকে আসা গণনাকেন্দ্রের কর্মী প্রসেনজিৎ দাসের অভিযোগ, ‘‘সকাল থেকেই প্রক্রিয়া ছিল বিশৃঙ্খলায় ভরা। তার মাঝে এক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরীক্ষা ঠিক মতো না করেই অনেকে নেগেটিভ রিপোর্ট নিতে থাকেন। নির্বাচন কমিশন ভাল সিদ্ধান্ত নিলেও প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের ব্যর্থতায় আজ এই অবস্থা হল।’’
এ দিকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়ার পরেই কয়েকটি টেবিলের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “মোট ১০টি টেবিলে করোনা পরীক্ষার কাজ চলছিল। তার মধ্যে দু’টি টেবিলে সমস্যা হয়েছিল। সেই দু’টি টেবিলের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। শনিবার শৈলেন মান্না স্টেডিয়ামের পাশাপাশি শরৎ সদনেও করোনা পরীক্ষা হবে। দূরত্ব-বিধি যাতে মানা হয় তা-ও দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy