কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের পরিজনরা। নিজস্ব চিত্র।
নদিয়ার চাকদহের পর এ বার এক বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হল পূর্ব বর্ধমানের কালনার কল্যাণপুরে। মৃত ব্যক্তির নাম অখিল প্রামাণিক (৪৫)। সোমবার সকালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় বাড়ির কাছে বাগানে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে পুলিশকে।
মৃতের পরিবার এবং স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন অখিল প্রামাণিককে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে। সেই কারণেই অখিলের পা মাটিতে ঠেকে রয়েছে এবং সেখানে পড়ে রয়েছে কয়েক ফোঁটা রক্ত। অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। এলাকার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়েও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে কালনার তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছেন, দেহ নিয়ে রাজনীতি করতেই ওই ব্যক্তিকে বিজেপি-র কর্মী বলা শুরু হয়েছে।
শনিবার পঞ্চম দফার ভোটের পর হিংসার ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েক জায়গায়। রবিবার সকালে নদিয়ার চাকদহে দিলীপ কীর্তনিয়া নামে এক বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তার পর সোমবার কালনায় উদ্ধার হল অখিল প্রামাণিকের দেহ। অখিলের ভাই দেবু প্রামাণিক বলেছেন, ‘‘আমরা বিজেপি পার্টি করি বলে কয়েক মাস ধরেই আমাকে ও আমার দাদাকে হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূলের কর্মীরা। ওরাই দাদাকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে।’’ মৃতের পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, অখিল রবিবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তার পর আর বাড়ি ফেরেননি। সোমবার সকালে অখিলের স্ত্রী এবং ভাই তাঁর খোঁজে বের হন। তখনই বাড়ির কাছে বাগানে অখিলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা।
ঘটনার কথা জানার পরেই কালনা বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ কুণ্ডু ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। পরাজয় নিশ্চিত বুঝে এখন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে তৃণমূল।’’ স্থানীয় বিজেপি নেতা সুশান্ত পাণ্ডে বলেছেন, “আমাদের দলের কর্মী অখিলকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা ঘটনার সিবিআই তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি চাই।” এই খুনের ঘটনা নিয়ে কালনা ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি প্রণব রায় বলেছেন, ‘‘বিজেপি এখন দেহ নিয়ে রাজনীতি করা শুরু করেছে। ওই ব্যক্তি বিজেপি-র কর্মী কিনা তা কেউ জানেন না। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, উনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। রোগ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে উনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে থাকতে পারেন। মৃতের দেহের ময়নাতদন্ত হোক। তা হলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy