রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সত্যজিৎ রায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সুইডেন থেকে বেশ কয়েকটি নোবেল পুরস্কার এসেছে ভারতে। এসেছে এই বাংলাতেও। এ বার ভারত সরকারও নোবেল পুরস্কারের সমান মর্যাদার আন্তর্জাতিক সম্মান প্রদান চালু করতে চায়। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেই চাওয়াটাই প্রকাশ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তাহারে। মোদীর ‘আত্মনির্ভর’ ভারত গঠনের চিন্তারই অঙ্গ এই পুরস্কার চালুর ভাবনা। আর প্রথম ভারতীয় হিসেবে একজন বাঙালি যে হেতু প্রথম বার নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তাই বাংলার নির্বাচনী ইস্তাহারকেই সেই ঘোষণার মঞ্চ বানিয়েছে বিজেপি। যেটা দিল্লিতে অনেক বেশি আলোকিত মঞ্চ থেকে ঘোষণা করতেই পারতেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বেছে নিলেন বাংলার মাটি।
নোবেল পুরস্কার। বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশ্ব সেরাদের সম্মান দেওয়া হয়ে আসছে ১৯০১ সাল থেকে। সুইডেনের বিজ্ঞানী তথা ডিনামাইটের আবিষ্কর্তা আলফ্রেড নোবেলের নামে এই পুরস্কার দেয় সুইডিশ সংস্থা ‘নোবেল ফাউন্ডেশন’। বিজেপি-র বক্তব্য, শুধু সুইডেন কেন, ভারতও যে সমাজের নানা ক্ষেত্রের উৎকর্ষকে সম্মান দিতে পারে সেটাই দেখিয়ে দিতে চান মোদী সরকার। কিন্তু সেই ঘোষণা বাংলার ভোটের ইস্তাহারে কেন?
বিজেপি-র ইস্তাহার কমিটির এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে চালু হবে সেই পুরস্কার। তার জন্য বাংলার থেকে বড় ক্ষেত্র আর কী হতে পারে? আর শুধু রবীন্দ্রনাথ নন, বাংলার মাটির সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন আরও কয়েক জন নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাই বাংলাই এমন ঘোষণার শ্রেষ্ঠ ভূমি।’’
শুধু নোবেলের সমমর্যাদার নয় চলচ্চিত্র ক্ষেত্রের সেরা সম্মান ‘অস্কার’-এর মতো পুরস্কারও চালু করতে চায় নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আর সেই ঘোষণার জন্যও বেছে নেওয়া হয়েছে নীলবাড়ির লড়াইয়ের জন্য তৈরি ইস্তাহারকে। বিজেপি-র দাবি অনুযায়ী এ ক্ষেত্রেও বাঙালির গর্ব সত্যজিৎ রায়কে সম্মান জানানোই দলের লক্ষ্য। ‘সত্যজিৎ রায় অ্যাওয়ার্ড’ নামে এই সম্মানও হবে আন্তর্জাতিক মানের। ভোটের ফলাফল কী হবে তা জানার জন্য ২ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলেও ২১ মার্চেই ওই দুই আন্তর্জাতিক ঘোষণার মঞ্চ হয়ে রইল বাংলার মাটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy