বিতর্ক কুলটির রাধানগরে। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
একটি জনসচেতনতা প্রচারের ফ্লেক্স থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়াল কুলটির রাধানগরে। এই কাজ বিজেপির বলে অভিযোগ তৃণমূলের। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির পাল্টা দাবি, এটা তৃণমূলের অন্তর্কলহের ফল। উত্তেজনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল পুরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের কুলটি রাধানগর মোড় এলাকায় পুর-কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এই ফ্লেক্সটি ঝোলানো হয়েছে। এতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি-সহ দু’টি লাইনে লেখা হয়েছে ‘জল বাঁচান, জীবন বাঁচান’। কিন্তু এই ফ্লেক্সটি এখনও নির্বাচন কমিশনের তরফে ঢাকা দেওয়া হয়নি বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। এ দিন সকালে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্য করেন, ওই ফ্লেক্সে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিটি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলর সরোজ কর্মকার। মুহূর্তের মধ্যে ভিড় জমে যায়। সরোজবাবুর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকারের উন্নয়নের জন্য বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই এ সব করে ওরা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’’ বিক্ষোভ দেখানোর পরে, তাঁরা নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে গিয়ে অভিযোগ জানান।
তবে তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের জেলা সহ-সভাপতি সুব্রত মিশ্রের দাবি, ‘‘সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনায় তৃণমূলের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে এসেছে। তাই ভোটের মুখে মিথ্যা কথা বলে তৃণমূল নেতৃত্ব বাজার গরম করতে চাইছেন এবং মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। আমরাও চাই, পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করুক।’’
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, আদর্শ নির্বাচন-বিধি বলবৎ হওয়ার পরে, তাদের তরফে সরকারি জায়গায় থাকা রাজনৈতিক দলের পোস্টার, ব্যানার, ফ্লেক্স খুলে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী-সহ কোনও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ছবি থাকলে সেগুলি ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় যদি কোনও পোস্টার, ব্যানার, ফ্লেক্স সরানো বা ঢাকা দেওয়া না থাকে, অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy