মান ভাঙাতে বাচ্চু হাঁসদার বাড়িতে অর্পিতা ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
দু’বারের বিধায়ক ও মন্ত্রী। কিন্তু এবারে তৃণমূল থেকে টিকিট পাননি। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন বিধানসভা কেন্দ্রের আদিবাসী মুখ তথা বিদায়ী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা তাই বিষন্ন। সোমবার কলকাতায় গিয়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। মঙ্গলবার বাচ্চুর মান ভাঙাতে তাঁর তপনের বাড়িতে গিয়ে দেখা করলেন তৃণমূলের রাজ্যেসভার সদস্য অর্পিতা ঘোষ।
মঙ্গলবার সকালে কলকাতা থেকে ফেরেন বাচ্চু। অর্পিতাও সাতসকালে বাচ্চুর বাড়িতে পৌঁছে যান। মুখোমুখি কথা বলেন। প্রায় দু’ঘণ্টা কথাবার্তা হয়। পরে অর্পিতা বলেন, ‘‘প্রার্থী হতে না পেরে ওঁর কষ্ট হয়েছে। মনও খারাপ। আলোচনা করে ক্ষোভবিক্ষোভ প্রশমিত করার চেষ্টা হচ্ছে।’’ অর্পিতার সং যোজন, ‘‘এটা ঠিক দু’বারের বিধায়ক ও মন্ত্রীর পাশাপাশি বাচ্চু সিনিয়র লিডার। দলে বাচ্চুর প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। দেখা যাক, কী হয়।’’
তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রার্থী নির্বাচনের অনেক আগে বাচ্চু সম্পর্কে পিকের আইপ্যাক টিমের বিরূপ সমীক্ষা দলের রাজ্য স্তরে পৌঁছয়। তবে কয়েকদিন আগে অবধি টিকিট পাবেন এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাচ্চু তপন কেন্দ্রে টিম সাজিয়ে পুরোদমে প্রচার শুরু করেছিলেন। দলের জেলা সভাপতি গৌতম দাসও স্বীকার করেন, বাচ্চু এলাকায় ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে অনেকটা গুছিয়ে ফেলেছিলেন। তবে শেষপর্যন্ত জেলায় তৃণমূলের দুই বিধায়কের মধ্যে কুমারগঞ্জের বিদায়ী বিধায়ক টিকিট পেলেও তপনের বিধায়ক বাচ্চু টিকিট না পেয়ে গেরুয়া শিবিরে পা বাড়িয়েছেন।
এদিন একরাশ ক্ষোভ উগড়ে বাচ্চু বলেন, ‘‘লোকসভায় তপন এলাকার লিড কম থাকায় হয়তো আমি টিকিট পেলাম না। জেলার অন্যান্য বিধানসভায় লিড কম থাকলেও তাদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। ফলে অভিমান হওয়া স্বাভাবিক। তা ছাড়া দলে আমার হয়তো প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তাই এতদিন কেউই আমার সঙ্গে যোগাযোগও করেননি। বিজেপির দিকে ঝুঁকতেই এ দিন অর্পিতা এলেন।’’ মালদহের সরলা মুর্মুর মত তপনে বাচ্চুর ক্ষেত্রেও কী বিবেচনার সম্ভাবনা রয়েছে, না কি বিজেপিতেই যাচ্ছেন অভিমানী বাচ্চু—তা অবশ্য সময়ই বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy