Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
BJP

Bengal Polls: ‘রাজবংশী আনন্দর মৃত্যুতে দিদি চুপ কেন?’ শীতলকুচি নিয়ে ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির অভিযোগ শাহের

শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার রাজ্যে এসে পাল্টা আক্রমণ করলেন অমিত শাহ।

অমিত শাহ।

অমিত শাহ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২১ ১৫:০০
Share: Save:

শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে তৃণমূল ‘ভোটব্যাঙ্ক’-এর রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তুললেন অমিত শাহ। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন তিনি। শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর আগেই বুথের লাইনে মৃত তরুণ সম্পর্কে মমতা চুপ কেন সেই প্রশ্নও তোলেন অমিত।

শনিবার শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছিলেন মমতা। রবিবার রাজ্যে এসে মমতাকে পাল্টা আক্রমণ করে অমিত বললেন, ‘‘শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে তোষণের রাজনীতি করছেন তৃণমূল নেত্রী। দিদি ৪ জনকে শ্রদ্ধা জানালেন। কিন্তু আনন্দর মৃত্যু নিয়ে কোনও মন্তব্য করলেন না। কারণ, আনন্দ রাজবংশী সম্প্রদায়ের যুবক। দিদির ভোটব্যাঙ্ক নয়।’’

রবিবার নদিয়ার শান্তিপুরে রোড শো করেন অমিত। এর পরে সাংবাদিক বৈঠকে অমিত বলেন, ‘‘কোচবিহারে যা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি ঠিক নয়। দিদির মন্তব্য শুনেছি। ওই একই জায়গায় সকালে আনন্দ বর্মণ নামের এক যুবককে গুলি করে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। যাতে ভোট না হতে পারে, তার জন্যই এই খুন হয়েছে।’’

শনিবার রাজ্যে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেছিলেন, মমতার উস্কানির ফলেই শীতলকুচির ঘটনা ঘটেছে। সেই একই কথা শোনা গেল শাহের মুখেও। তিনি বলেন, ‘‘এই শীতলকুচিতেই কিছু দিন আগে সভায় দিদি বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরতে। আমার প্রশ্ন, আপনার এই ভাষণ কি এই মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়? আপনি এই ভাষণ না দিলে কি এই ঘটনা ঘটত? আপনার উস্কানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। এখনও সুযোগ আছে দিদি। আনন্দর মৃত্যুকেও শ্রদ্ধা জানান। আপনার ভাষণের জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চান।’’

নির্বাচনের বাকি ৪ দফায় শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য সব রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন করেছেন অমিত। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক হিংসা ঘটবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অমিত।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE