সায়ন্তন বসু।
বুক লক্ষ্য করে গুলির নির্দেশ দিচ্ছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু, এমনই এক ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় চাপানউতর শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি-র মধ্যে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি আনন্দবাজার ডিজিটাল।
শনিবার চতুর্থদফা ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন যুবকের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই ভিডিয়োটি নেটমাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হতে শুরু করে। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূল নেতৃত্ব সরাসরি না হলেও, কৌশলে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে দিয়েছে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। যেখানে সায়ন্তনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘সিআরপিএফ-কে বলে দেব গুলি যেন বুক লক্ষ্য করে যায়। গুলি যেন পা লক্ষ্য করে না যায়। পুলিশকে থানার মধ্যেই আটকে রেখে দেব। থানার বাইরে বের করতে দেব না। নিশ্চিন্তে থাকুন। ভোটের সময় এই ভ্যবলা পুলিশ শুধু প্যারেড করবে। এমন বাড়াবাড়ি দেখানো হবে যাতে দৌড়াদৌড়ি তো দূরের কথা, এখন যাবে দৌড়ে আর ফিরবে খাটিয়াতে করে। সেই ব্যবস্থা আমরা করে দেব।’’
ভিডিয়োটি কবেকার, সেই তথ্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডিজিটাল। বিজেপি নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময়ের একটি ভিডিয়ো ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে তৃণমূল। তবে বিজেপি-র এমন অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। বিদায়ী মন্ত্রিসভার বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘‘ভিডিয়োটি ২০১৯ সালের না এখনকার, এটা কি বিজেপি আমাদের বোঝাবে? শীতলকুচির ওই হত্যাকাণ্ডের পর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, সরাসরি বিজেপি-র নির্দেশেই কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিচালিত হচ্ছে। এবং তাঁরা পরিকল্পিত ভাবেই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। তাই যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে, তাকে সত্য বলেই ধরা উচিত।’’
পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেলে মানুষ যা যা করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তাই তাই করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলার কথা বলে উনি জনতার কাঠগড়ায়। এখন পাল্টা দিতে ২০১৯ সালের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল করে হইচই করছে তাঁর দলবদল। এতে কিছুই হবে না। মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, তার পাল্টা যুক্তি হিসেবে এটা তুলে ধরা যায় না। দু’বছর আগে যে প্রেক্ষিতে এই কথা বলা হয়েছিল, আজকের পরিস্থিতি তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy