শেখ মহম্মদ হাবিব। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের আগের দিন, বুধবার বিজেপির পোলিং এজেন্টকে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর খুড়তুতো ভাইকেও মারধরের নালিশ করা হয়েছে। এ দিন দুপুরে বাঁকুড়ার ইন্দাসের জিনকড়া গ্রামের ঘটনা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনাটিকে পারিবারিক বিবাদের জের বলে দাবি করেছেন ইন্দাস ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।
জিনকড়া গ্রামের বিজেপির ওই পোলিং এজেন্ট শেখ মহম্মদ হাবিব ও তাঁর খুড়তুতো ভাই শেখ লাল্টুকে ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যায় তিনি পুলিশের কাছে রড, লাঠিসোটা ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপরে চড়াও হওয়ার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আট জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সন্ধ্যায় তিন জন ধরা পড়ে। ইন্দাস থানার পুলিশ জানায়, গণ্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তারা যায়। তবে ‘হামলাকারী’রা তার আগেই পালিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
এ দিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আহত হাবিব সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, দুপুরে তিনি বাড়িতে বসে বিজেপির ফেস্টুন তৈরি করছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর খুড়তুতো ভাই শেখ লাল্টু। দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ ‘তৃণমূলের কিছু লোকজন’ তাঁর বাড়ির দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে। তিনি বিজেপির পোলিং এজেন্ট হয়েছেন বলে বাড়ির চার পাশে মোটরবাইক নিয়ে ঘুরে ঘুরে হুমকি দেয় ও গালিগালাজ করতে থাকে। তাঁর ভাই লাল্টু দরজা খুলে প্রতিবাদ জানাতে গেলে, দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।
হাবিবের অভিযোগ, ‘‘মাটিতে পড়ে যায় লাল্টু। আমি তাকে বাঁচাতে গেলে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাকেও ফেলে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। আমার মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করছিল। বাঁ হাত দিয়ে আটকাতে গেলে লাঠির আঘাতে হাত ভেঙে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। আমি বিজেপির পোলিং এজেন্ট হয়েছি বলেই আমাদের মারধর
করা হয়েছে।’’
বিজেপির ইন্দাস বিধানসভার আহ্বায়ক মীর নজরুল ইসলামের অভিযোগ, ‘‘ভোটের আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই আমাদের পোলিং এজেন্ট-সহ দু’জনকে তৃণমূলের লোকজন মারধর করেছে। তাঁদের হাতে-পায়ে গুরুতর আঘাত রয়েছে। এ ভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না।’’ যদিও ইন্দাসের ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ হামিদ দাবি করেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই জড়িত নয়। পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ। শুনেছি, একটি নিকাশি নালা নিয়ে ওখানে ঝামেলা হয়েছে। বিজেপি সে ঘটনায় রাজনৈতিক
রং লাগাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy