Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Fire

Bengal polls: এ বার বাগদায় গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে, জখম কয়েকজন

কোচবিহারের শীতলখুচির পর ফের রাজ্যের ভোটে চলল গুলি। এ বার ভোট চলাকালীন গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভার ৩৫ নম্বর বুথে। ওই ঘটনায় ২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ। এক পুলিশ আধিকারিক এবং এক কনস্টেবলও আহত বলে জানা গিয়েছে।যদিও গুলি-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি প্রশাসন।গেরুয়া শিবিরের দাবি, বাগদার ৩৫ নম্বর বুথের ২০০ মিটার দূরে তাঁদের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় তৈরি করেছিলেন। সেখানে ভিড় করেছিলেন ভোটাররা। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের কথায় সেই ভিড় সরাতে ময়দানে নামে পুলিশ। এ নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটিও হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিজেপি কর্মীদের সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। কিন্তু পরে আরও বাহিনী নিয়ে এসে ফের পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে দাবি বিজেপি নেতাদের।

বাগদায় গুলি চালানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।

বাগদায় গুলি চালানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাগদা শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২১ ১৭:২৮
Share: Save:

কোচবিহারের শীতলখুচির পর ফের রাজ্যের ভোটে চলল গুলি। এ বার ভোট চলাকালীন গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভার ৩৫ নম্বর বুথে। ওই ঘটনায় ২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ। এক পুলিশ আধিকারিক এবং এক কনস্টেবলও আহত বলে জানা গিয়েছে।যদিও গুলি-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি প্রশাসন।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, বাগদার ৩৫ নম্বর বুথের ২০০ মিটার দূরে তাঁদের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় তৈরি করেছিলেন। সেখানে ভিড় করেছিলেন ভোটাররা। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের কথায় সেই ভিড় সরাতে ময়দানে নামে পুলিশ। এ নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটিও হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিজেপি কর্মীদের সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। কিন্তু পরে আরও বাহিনী নিয়ে এসে ফের পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে দাবি বিজেপি নেতাদের। কিন্তু পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীরা ধারাল অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়। বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। অস্ত্রের কোপে জখম হন বাগদা থানার ওসি উৎপল সাহা। মাথায় চোট পেয়েছেন উৎপল। তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থআনান্তরিত করা হয়েছে। জখম এক কনস্টেবলও।

বাগদা বিধানসভার ৩৫ নম্বর বুথের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরার দাবি, বাড়ি ফেরার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বাজার থেকে তেমাথা হয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। আচমকা হাতে গুলি লাগে। পুলিশ চালিয়েছে। কেন চালিয়েছে জানি না। ওখানে মারপিট হচ্ছিল কি না তাও জানি না।’’ মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী বলেন, ‘‘গন্ডগোল হচ্ছিল। সে সময় গুলি লেগেছে।’’

বাগদার বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ আজ নিরপেক্ষ নয়। সকাল থেকেই শাসকের ভূমিকা নিয়েছেন। পুলিশ সকাল থেকে শাসকদলের পক্ষে ভোট করানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে তৃণমূলকে পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধছে। আমরা কমিশনে অভিযোগ জানাব।’’

এ বিষয়টি নিয়ে বাগদা থানার ওসি উৎপল সাহাকে ফোন করা হয়। তাঁর ফোন অন্য এক পুলিশ কর্মী ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘বড়বাবু এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। উনি আহত। ওঁর চিকিৎসা চলছে।’’ ঘটনার কথা জানতে ফোন করা হয় বনগাঁ পুলিশ জেলার এসপি তরুণ হালদারকে। তিনি ফোন ধরেননি।

অন্য বিষয়গুলি:

Fire Bagdah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy