সায়নী ঘোষ ও অগ্নিমিত্রা পাল। ফাইল চিত্র।
প্রতিদ্বন্দ্বীকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। রবিবার তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘেষের উদ্দেশে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘‘২ মে ফলাফল বেরনোর পর কন্ডোমের দোকান দেবেন উনি।’’ তা নিয়ে অগ্নিমিত্রাকে পাল্টা তোপ দেগেছেন সায়নীও।
রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সায়নীকে আক্রমণ করেন অগ্নিমিত্রা। বলেন, ‘‘উনি তো রাজনীতি জানেন না। কারণ, এত দিন উনি সিনেমা করে এসেছেন। এর পর ২ মে ফলাফল বেরনোর পর হয়তো কন্ডোমের দোকান খুলবেন বা অন্য কোনও পেশায় যাবেন বা সিনেমাটাই করবেন। উনি জানেন না আসানসোলের সাংসদ, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, অন্যান্য সাংসদ, বিধায়ক যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি করোনা পর্বে ত্রাণ দিতে গেলেও বাধা দেওয়া হয়েছিল।’’ অগ্নিমিত্রার মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
বিজেপি প্রার্থীর এ হেন মন্তব্যের উত্তরে সায়নী পাল্টা বলেন, ‘‘অমি ওঁর স্তরে নামতে পারব না। উনি যে কথাগুলো বলছেন তার মধ্যে দিয়ে ওঁর পরিচয়, ওঁর বংশপরিচয়, উনি কী ভাবে বড় হয়েছেন, তা প্রকাশ পাচ্ছে। উনি তো আমাকে ‘বাচ্চা’, ‘বাচ্চা’ বলতেন। কিন্তু উনি আমার থেকে এত বড় হয়ে নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন।’’
কিছু দিন আগেই আসানসোলের রতিবাটি এবং তিরাট কোলিয়ারি এলাকায় আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে অগ্নিমিত্রার বিরুদ্ধে। ওই এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের জেরে পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেয়। জল না পেয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। সেই বিক্ষোভে যোগ দেন অগ্নিমিত্রাও। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেখানে জলভর্তি ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু অগ্নিমিত্রার উপস্থিতিতে ওই জলের ট্যাঙ্কে দলের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপি-র বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সম্প্রতি সায়নীর পুরনো একটি টুইট নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তথাগত তাঁর টুইটার প্রোফাইলে অভিযোগপত্রের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেই সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি গ্রাফিক শেয়ার হয়েছিল। একটি শিবলিঙ্গের ছবি। তাতে কন্ডোম পরাচ্ছে এক মহিলা। গ্রাফিক থেকে বোঝা যাচ্ছে, মহিলাকে এডস সচেতনতার বিজ্ঞাপনের ম্যাসকট ‘বুলাদি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গ্রাফিকের ভিতরে লেখা, ‘বুলাদির শিবরাত্রি’। পোস্টের ক্যাপশনে ছিল, ‘এর থেকে বেশি কার্যকরী হতে পারেন না ঈশ্বর’। এর পরই ধর্মীয় ভাবাবেগে সায়নী আঘাত দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অগ্নিমিত্রার রবিবারের বক্তব্যে সেই ঘটনারই অনুরণন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy