উত্তরপাড়ায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে গল্পে মশগুল অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফা মেটার পর কেটে গিয়েছে তিনটে দিন। পরীক্ষার দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর কম-বেশি সব প্রার্থীই কিছুটা হালকা। কয়েকজন এই কয়েক দিনের লড়াইয়ের পর বিশ্রামে ব্যস্ত। কেউ আবার দলের অন্য প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারে।
কালীঘাট থেকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ইস্তক টানা এক মাসেরও বেশি উত্তরপাড়ার অলিগলিতে ছুটে বেরিয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। ভোটের নটে গাছটি মুড়োতেই কাঞ্চন বাড়ির পথে পা বাড়ান শনিবার রাতেই। রবিবার সকালেই টালিগঞ্জের নাকতলার ফ্ল্যাটে ফোন গিয়েছিল কাঞ্চন মল্লিকের কাছে। তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব, ‘‘আগামী কয়েকদিন আমাকে কেউ পাবেন না। পৃথিবীর বাইরে থাকব।’’ ভোটের ফল নিয়েও ভাবতে নারাজ তিনি। বলেন, ‘‘ফল তো সময় আর মানুষ বলবে। উত্তরপাড়ার অলি তস্য গলিতে যেখানেই মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, মানুষ এগিয়ে এসেছেন। ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছেন। এটা সত্যিকরের পাওনা।’’
কাঞ্চন আপাতত দু’দিনের বিশ্রামে থাকলেও চন্দননগরের আরও এক তারকা প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেনের অবশ্য ফুরসত নেই একেবারে। তিনি বলেন, ‘‘শনিবার রাতেই আমাদের কলকাতার বাড়িতে ফিরে এসেছি। তারপর শীতলখুচির ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল চলছে। দল যেখানে বলবে সেখানেই যাব। এখনও চার দফার তো ভোট বাকি।’’
ভোট মিটতেই বলাগড়ের তৃণমূল প্রার্থী মনোরঞ্জন ব্যাপারী সোনারপুরে বাড়িতে চলে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ভোটের সময় ঠিক করে স্নান, খাওয়া, ঘুম হয়নি। কয়েকটা দিন একটু বিশ্রাম নেব। বলাগড়ে এখন যাব না। দলের নির্দেশে অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারের জন্য যেতে হবে।’’
লকেট চট্টোপাধ্যায়ও আপাতত জ্বরের জন্য কয়েকদিন বাড়িতে বিশ্রামে আছেন। আর যশকে বারবার ফোন করেও উত্তর মেলেনি।
শ্যামপুরে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। তাঁর কেন্দ্রে ভোট হয়ে গিয়েছে ৬ এপ্রিল। প্রার্থিপদ ঘোষণার পর থেকে তিনি ঘাঁটি গেড়েছিলেন শ্যামপুরেই। গাদিয়াড়ার সরকারি লজে ছিল তাঁর অস্থায়ী আবাস। ভোট শেষ হওয়ার পরের
দিনই তিনি ফিরে গিয়েছেন কলকাতায় তাঁর নিজের বাড়িতে। কিন্তু বিশ্রামের কোনও অবকাশ পাননি। তিনি বললেন, ‘‘কলকাতার বহু কেন্দ্রে ভোট আগামী ১৭ এপ্রিল। সেই সব কেন্দ্রের প্রচারে যাচ্ছি।’’
উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার বিদেশ বসু। তিনিও কলকাতার বাসিন্দা। তবে ভোটের আগে তিনি উলুবেড়িয়াতে একটি অস্থায়ী ঘর নিয়ে সেখান থেকে টানা প্রচারে যোগ দিয়েছেন। ভোটের পরের দিনই তিনি কলকাতায় ফিরে গিয়েছেন। তিনি বললেন, ‘‘বিশ্রামের ফুরসত নেই। দলের অন্য প্রার্থীদের জন্যও ভোটের প্রচারে যাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy