দলবদলু
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যখন উগ্রহিন্দু লাইনে হাঁটছেন, সেই সুযোগে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চাকে ভাঙালেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার বিকেলে তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে ভারতীয় জনতা সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক শাকিল আনসারি-সহ ২৫ নেতা ও তাঁদের অনুগামীরা শাসক দলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওদের দলের কর্মপন্থায় বীতশ্রদ্ধ হয়ে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজে সামিল হতে বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের ৮০% নেতাই আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।’’
ছোটদের নালিশ
পিসি বলছেন, কমিশন তিন দিনের অতিথি। পরে তাঁরাই থাকবেন। ভাইপো ‘ইঞ্চিতে-ইঞ্চিতে’ বিরোধীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। ভোটের বাজারে বিরোধীরা তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কমিশনে নালিশ ঠুকেছেন। তাতেই গোঁসা নেত্রীর। সোমবার পুরুলিয়ার মানবাজারে মমতা বলেই ফেললেন, ‘‘এখন তো দেখছি, কথায় কথায় নালিশ হচ্ছে। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপির এখন একটাই কাজ, নালিশ জানানো। আরে নালিশ তো ছোটরা করে!’’ সিপিএমকে বলেন, ‘‘৩৪ বছর ধরে বাংলাটাকে খেয়ে এখন নালিশ করা হচ্ছে। তোমাদের নালিশের উত্তর ভোটের ফলে মানুষ ইঞ্চিতে-ইঞ্চিতে বুঝিয়ে দেবে।’’
পরে খাব
মনোনয়ন জমা দিতে এসে কয়েকজন নেতাকে নিয়ে চা খাচ্ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল প্রার্থী তজমুল হোসেন। সে দিক দিয়ে যাচ্ছিলেন এক পুলিশ অফিসার। সৌজন্যের খাতিরেই ওই অফিসারকে চা খেতে অনুরোধ করলেন। কিন্তু কমিশনের কড়া চোখ! তাই ‘‘নির্বাচনের পরে খাব’’ বলে সেখান থেকে সরে পড়লেন ওই অফিসার। তজমুল সাহেব তো থ! বললেন, ‘‘ব্যাপারটা প্রথমে বুঝতেই পারিনি। নির্বাচন না মেটা পর্যন্ত কোনও সরকারি অফিসারকে আর এমন প্রস্তাব দেব না।’’
কোহালি-এফেক্ট
কোহালির ব্যাটে মোহালিতে খানখান হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার স্বপ্ন। ভোট-মরসুমে জয়ের স্বপ্ন জোটেরও! সোমবার সকাল থেকেই বালুরঘাট শহরের সাধনা মোড়ে জটলা। এখানেই আরএসপি অফিস। প্রথমে বিশ্বনাথ চৌধুরী পৌঁছলেন। সিপিএমের প্রার্থী মাফুজা খাতুন, আরএসপির প্রার্থী রঘুও পৌঁছন। কংগ্রেসের নেতা গোপাল দেবের নেতৃত্বে হাজির বহু কংগ্রেস কর্মীও। কংগ্রেসের পতাকা মিশল বামেদের মিছিলে। আওয়াজ উঠল, ‘‘বিশ্বনাথদা, চালিয়ে খেলুন, ছক্কা হবেই।’’
ব্যথিত ওমপ্রকাশ
দেওয়াল লিখে প্রচারে নেমেছিলেন! কিন্তু পরে জানলেন, তিনি নন, দীপা ভবানীপুরে কংগ্রেসের প্রার্থী। রাজ্যের কোথাও তিনি প্রার্থী নন। শুরুতে অভিমান হলেও পরে মন দিয়েছিলেন দলের ইস্তাহারে। কিন্তু তাতেও গেরো! সোমবার খসড়া ইস্তাহার হাতে পেয়ে দেখলেন, ৮০%-ই বদলে গিয়েছে! কে করল এমন! আঁচ করতে পারছেন না! বারবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বুঝতে চাইছেন, ইস্তাহারের ভবিষ্যত। পরপর দু’বার এমন ‘ধাক্কা’য় ব্যথিত ওমপ্রকাশ মিশ্র!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy