হলদিয়া মুখোমুখি দুই শিবিরের জমায়েত। শুরু বচসা। এর থেকেই শুরু হয় সংঘর্ষ। ছবি: আরিফ ইকবাল খান।
তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হলদিয়া। শুভেন্দু অধিকারী, সুদর্শন ঘোষদস্তিদারদের উপস্থিতিতেই তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে রুখে দাঁড়াল সিপিএম। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় দু’দলের সমর্থকরা মুখোমুখি হতেই এই গোলমাল শুরু হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম হন খোদ এসডিপিও। জখম হন সুতাহাটা থানার ওসি-ও।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ হলদিয়ার সিপিএম প্রার্থী তাপসী মণ্ডল ও নন্দীগ্রামের সিপিআই প্রার্থী কবীর মহম্মদ মনোয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য মিছিল মিছিল নিয়ে পৌঁছন রিটার্নিং অফিসারের দফতরে। তাপসী মণ্ডল মনোনয়ন পত্র জমা দিতে ভিতরে ঢোকার পর তাঁর সঙ্গে মিছিল করে আসা অনুগামীরা বাইরে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। সেই সময়ই মিছিল নিয়ে সেখানে পৌঁছন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী এবং মহিষাদলের তৃণমূল প্রার্থী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার। ছিলেন হলদিয়ার তৃণমূল প্রার্থী মধুরিমা মণ্ডলও।
আরও পড়ুন:
কেষ্টকে ছাড়বে না কমিশন, বদলি বীরভূমের এসপি
সিপিএম সমর্থকদের সেখানে থাকতে দেখে অবিলম্বে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। অনুমতি ছাড়া তারা জমায়েত করেছে বলে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু প্র্রার্থীর মনোনয়ন জমা না হওয়া পর্যন্ত এলাকা ছেড়ে নড়তে রাজি ছিলেন না সিপিএম সমর্থকরাও। শুরু হয় বচসা। তার থেকেই মারামারি। শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে হলদিয়ার বুকে সিপিএম তৃণমূলকে পাল্টা মারবে, এমনটা অনেকেই আশা করেননি। সংঘর্ষ তুমুল আকার নেয়। থামাতে গিয়ে জখম হন হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় এবং সুতাহাটা থানার ওসি শীর্ষেন্দু দাস। এর পর লাঠি চালায় পুলিশ। তবে তৃণমূল সমর্থকদের উপর নয়, বামেদের জমায়েতের দিকেই লাঠি চালানো হয় বলে অভিযোগ। সামসুদ্দিন শাহ নামে এক সিপিএম সমর্থককে আটকও করা হয়েছে। তাপসী মণ্ডল বলেছেন, ‘‘ঠিক কী হয়েছে দেখিনি। তবে শুনেছি পুলিশ অন্যায়ভাবে আমাদের সমর্থকদের মেরেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy