Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

কামারহাটি থেকে বর্ধমান, হামলা তৃণমূলের

বিরোধী প্রার্থী থেকে বিরোধীদের সভা, হামলার একাধিক অভিযোগ ইতিমধ্যেই উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবারও বাদ গেল না! সন্ধ্যায় বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএমের প্রচারসভায় হামলা চালিয়ে জোট প্রার্থী আইনুল হককে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৪৭
Share: Save:

বিরোধী প্রার্থী থেকে বিরোধীদের সভা, হামলার একাধিক অভিযোগ ইতিমধ্যেই উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবারও বাদ গেল না! সন্ধ্যায় বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএমের প্রচারসভায় হামলা চালিয়ে জোট প্রার্থী আইনুল হককে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রায় একই সময়ে কামারহাটিতে চিটফান্ডের বিরুদ্ধে আয়োজিত সভাতেও হামলায় অভিযুক্ত শাসক দল। যে ঘটনার জেরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কামারহাটি পুরস‌ভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের টিচার্স কলোনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

কামারহাটির ঘটনায় হামলার অভিযোগ উড়িয়ে স্থানীয় ত়ৃণমূল কাউন্সিলর বিমল সাহার দাবি, অরাজনৈতিক ব্যানারে এই সভার আয়োজন করে সারদা-কাণ্ডে জেলবন্দি এবং কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রের নামে সিপিএম অশ্লীল কথা বলছিল। তার প্রতিবাদ করায় সিপিএম-ই তাঁদের মারধর করেছে। অভিযোগ উড়িয়ে কামারহাটির সিপিএম প্রার্থী মানস মুখোপাধ্যায় জানান, ওই সভার সঙ্গে সিপিএমের কোনও যোগই নেই। একই দাবি সভার আয়োজক ‘আমানতকারী সুরক্ষা মঞ্চ’রও।

স্থানীয় সূত্রের খবর, সন্ধ্যায় আমানতকারী সুরক্ষা মঞ্চের সভা হচ্ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা আক্রান্ত’-র সদস্য মৌসুমি কয়াল, প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস সরকার-সহ কয়েক জন। সভার আয়োজক সুবীর দে বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতা বিমল সাহা সভার সামনে এসে বলেন, চিটফান্ড ও নারী নির্যাতন নিয়ে কোনও কথা বলা যাবে না।’’ এর পরেই তৃণমূল কর্মীরা বাঁশ, ইট নিয়ে হামলা চালায়। তিনি জানান, খবর পেয়ে সেখানে আসেন মানসবাবু ও ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র। মানসবাবুরা পুলিশে খবর দেন। সুবীরবাবুর অভিযোগ, ‘‘পুলিশ এসে উল্টে আমাদেরই লাঠি চার্জ করল! প্রতিবাদ করলে বলে ‘তুলে নিয়ে যাব’!’’ তৃণমূল অবশ্য মানসবাবু-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে।

অন্য দিকে বর্ধমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড-শো শেষ হওয়ার কিছু পরে সিপিএমের প্রচার সভায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মার-পাল্টা মারে সিপিএম এবং তৃণমূলের সাত জন জখম হয়েছেন। সিপিএমের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর মিছিল শেষ হওয়ার কিছু পরে বর্ধমান শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাহচেতন এলাকায় তাদের সভা হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সভা ফেরত তৃণমূলের কিছু সদস্য রাস্তার একটা দিক আটকে দিয়ে তাদের উপর আক্রমণ চালায়। এর পরেই বর্ধমান থানায় বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে, যাঁরা এলাকায় তৃণমূলের কর্মী বলে পরিচিত। তবে এ দিন রাতে নদিয়ার গয়েশপুরে সিপিএম প্রার্থী অলকেশ দাসের সমর্থনে ‘সেভ ডেমোক্রেসি’র সভা ভন্ডুল করতে গিয়ে বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় তৃণমূল। ওই সভায় এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, নাট্যকার চন্দন সেন-সহ বেশ কয়েক জন বিশিষ্ট জন। অশোকবাবু মঞ্চে উঠতেই তৃণমূলের লোকজন সভা পণ্ড করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু জনতা তেড়ে যেতেই পিছু হটে তৃণমূলের লোকেরা। সভা শেষ হয় নির্বিঘ্নেই। তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছে, তাদের কোনও সদস্য ওই সভা ভন্ডুল করতে যায়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

TMC assembly election 2016
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy