Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

শাসকের ‘অনিচ্ছায়’ বৈঠক এড়াল প্রশাসন

নির্বাচনের মুখে তৃণমূলের ‘দৌরাত্ম্য’ ঠেকিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল সিপিএম। সপ্তাহ দুয়েক ধরে তাই কল্যাণী-গয়েশপুর এলাকায় দু’পক্ষের খণ্ড যুদ্ধ লেগেই ছিল। এলাকায় শান্তি ফেরাতে বৃহস্পতিবার তাই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল কল্যাণী মহকুমা প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কল্যাণী শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৫১
Share: Save:

নির্বাচনের মুখে তৃণমূলের ‘দৌরাত্ম্য’ ঠেকিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল সিপিএম। সপ্তাহ দুয়েক ধরে তাই কল্যাণী-গয়েশপুর এলাকায় দু’পক্ষের খণ্ড যুদ্ধ লেগেই ছিল। এলাকায় শান্তি ফেরাতে বৃহস্পতিবার তাই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল কল্যাণী মহকুমা প্রশাসন।

কিন্তু, বৈঠক ডেকেও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছে তারা। কেন? এড়িয়ে গিয়েছেন কল্যাণীর মহকুমাশাসক স্বপন কুণ্ডু। তিনি বলেন, ‘‘আগামী সপ্তাহে ওই বৈঠক হতে পারে।’’ প্রায় একই সুরে নদিয়া জেলাশাসক বিজয় ভারতীও জানান, দিন কয়েকের মধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফে ওই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হতে পারে। তবে, জোটপন্থীদের দাবি, ওই বৈঠকে আদৌ উৎসাহী ছিল না তৃণমূল। ‘শাসকের মান রাখতে’ তাই শেষ পর্যন্ত বৈঠকই পিছিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।

সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বলেন, ‘‘বৈঠকে যোগ দিতে জোটপন্থীদের (সিপিএম-কংগ্রেস) আপত্তি ছিল না। মুখে না বললেও, এটা স্পষ্ট যে, তৃণমূলের জন্যই বৈঠক স্থগিত হয়ে গেল।’’ যা শুনে, কল্যাণী শহর তৃণমূলের সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘বৃহস্পতিবার দুপুরে আমাকে প্রশাসনের তরফে ফোনে জানানো হয় যে, বৈঠক হচ্ছে না। কেন পিছলো তা তো বলতে
পারব না। আমাদের কোনও আপত্তি ছিল না কিন্তু।’’ জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানাচ্ছেন, চাপ দিয়ে ওই বৈঠক পিছিয়ে কিছুটা সময় কিনে নিল
শাসক দলই। বিরোধীদেরও দাবি, সবর্দলীয় বৈঠক অন্তত সপ্তাহখানেক পিছিয়ে দিতে চেয়েছে তৃণমূলই। সিপিএমের এক জেলা নেতার কথায়, ‘‘রাজ্যের ভোট-পর্ব দিন সাতেকের মধ্যেই মিটে যাবে। তত দিনে পরিস্থিতিও অনেকটা থিতিয়ে যাবে। তখন আর ওই বৈঠকের প্রাসঙ্গিকতাও থাকবে না। জেলা প্রশাসনই তখন বলবে, আর বৈঠকের প্রয়োজন নেই।’’

ভোটের পর কল্যাণী, হরিণঘাটা, গয়েশপুর বা চাকদহ বিধানসভা এলাকা একের পর এক হিংসার সাক্ষী থেকেছে। কোথাও জোট প্রার্থীর পোলিং এজেন্টের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কোথাও ঘটেছে সিপিএম কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে মারধর করার ঘটনা, এমনকী ভোটের সকালে ভোটারদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার মতো ঘটনাতেও জড়িয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের নাম। জোটের সঙ্গে গণ্ডগোলের জেরে পাল্টা মার খাওয়ার অভিযোগ এনেছেন হরিণঘাটা ব্লক তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল দেবনাথও। শান্তি ফেরাতেই সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছিল প্রশাসন।

অন্য বিষয়গুলি:

assembly election 2016
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy