ভোটের আগের চোখরাঙানি ছিলই। ভোট শেষ হতেই শুরু হয়েছে হামলা-মারধর। বর্ধমান, বাঁকুড়া থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর—দিকে দিকে আক্রান্ত বিরোধী, বিশেষ করে সিপিএম। অভিযোগের কাঠগড়ায়, তৃণমূল।
যেমন বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর।
এই বিধানসভা এলাকা জুড়ে কার্যত সন্ত্রাস চলছে। হামলা, মারধর, ভাঙচুর, কিছুই বাদ নেই। স্থানীয়দের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বহিরাগতেরা। সোমবার ভোট শেষে রাতেই হামলা হয় লস্করবাঁধে সিপিএম কর্মী দুর্যোধন বাগদির উপর। মারধর করা হয় তাঁকে। এর পর ভাঙচুর চালানো হয় আরও দুই সিপিএম কর্মীর বাড়িতে। হামলাকারীরা মাধাইপুরে গেলে সেখানে সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে সিপিএম মিছিল করে।
এ দিন বিকেলে পাণ্ডবেশ্বরের নতুনডাঙ্গায় সিপিএম সমর্থকের বাড়িতে হামলা হয়। বাড়ির আসবাব ভাঙচুর করা হয়। আক্রান্ত
পরিবারের দাবি, সিপিএম করার অপরাধেই তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। হুমকিও দিয়েছে। মাধাইপুরে মারধর করা হয় সিপিএম সমর্থককে। জখম অবস্থায় রাস্তায় পড়েছিলেন তিনি। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। সন্ধ্যার ঠিক আগে ওই গ্রামেরই তৃণমূল সমর্থক ভোলারাম বাউড়ির বাড়িতে পাল্টা ভাঙচুর চালায় সিপিএম।
বাঁকুড়ার জয়পুর থানার হরিণাশুলি গ্রামে আবার কয়েক ঘর সিপিএম সমর্থক পরিবারের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুরুষেরা কোনও মতে পালিয়ে গেলেও হামলাকারীদের হাতে মার খান চার মহিলা। আহতদের অভিযোগ, তৃণমূল তাঁদের ভোট
দিতে যেতে মানা করেছিল। তা উপেক্ষা করে সোমবার বুথে যাওয়ার মাসুল চোকাতে হয়েছে তাঁদের। এই জেলারই পাত্রসায়র থানার জামকুড়ি অঞ্চলে ভোটগ্রহণের পরে সোমবার রাতে সিপিএমের দুই পোলিং এজেন্টের বাড়িতে চড়াও হয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
একই ছবি পশ্চিম মেদিনীপুরে। দাঁতন-২ ব্লকের গামারিপুর বুথে সিপিআই প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট থাকার ‘অপরাধে’ এ দিন সিপিএম কর্মী শঙ্কু রথকে তৃণমূলের লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ। দাঁতন-১ ব্লকের দোয়াস্তি গ্রামে সোমবার রাতে সিপিএম প্রার্থীকে ভোট দেওয়ায় সাত জন আদিবাসী পুরুষ-মহিলাকে মারধর করার ঘটনায় অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলেরই বিরুদ্ধে। সোমবার রাত থেকেই ঘাটাল ও চন্দ্রকোনার ১০-১২টি এলাকায় তৃণমূলের লোকজন তাণ্ডব
চালিয়েছে বলে অভিযোগ। সিপিএমের জেলা নেতা অশোক সাঁতরার অভিযোগ, ‘‘দলীয় কর্মীদের ধান কাটতে বাধা দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে বয়কটের ফতোয়া।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy