নন্দীগ্রামে ঘটনার ছবি। নিজস্ব চিত্র
নন্দীগ্রামের ঘটনায় মামলা দায়ের করল পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১ ও ৩২৩ ধারায় নন্দীগ্রাম থানায় মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জেলাশাসক বিভু গোয়েল ও পুলিশ সুপার প্রবীণ কুমার প্রকাশ। তাঁরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং পুরো ঘটনার বিস্তারিত খবর নেন। সেই অনুসারে রিপোর্ট তৈরি করে তাঁরা নবনিযুক্ত ডিজি নীরজ নয়ন ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগোমহনের কাছে সেই রিপোর্ট জমাও দিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। তার আগেই এফআইআর দায়ের করা হল।
কী করে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে ঢুকে পড়লেন কেউ কেউ, তাও সন্ধান করে দেখা হবে। বুধবারের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা তাঁর দেহরক্ষীদের ও এসএসইউ (স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিট) -এর সদস্যদের নিয়েও। গোটা ঘটনায় তাঁদের ভূমিকা কী, সে বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হবে বলেও সূত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সাংবাদিকদের বুধবার বলেন, ৪-৫জন ধাক্কা মেরে তাঁকে ফেলে দিয়েছেন। কারা ধাক্কা মেরেছিল মুখ্যমন্ত্রীকে, তা নিয়েও তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, ঘটনার সময় এলাকায় জেলার পুলিশ সুপার বা অন্য কোনও উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক ছিলেন না। সেই সময়ে গাড়িতে জনসংযোগের কাজ করছিলেন তিনি। হঠাৎই তাঁর নিরাপত্তার বলয় ভেদ করে ৪-৫ জন ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তারপর ধাক্কাধাক্কিতে শরীরে বেশ কয়েকটি অংশে তিনি চোট পান। এর পর তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য। আপাতত এসএসকেএমে তিনি ভর্তি আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy