যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার চলে যাওয়ার পরে বাঁকুড়ার ওন্দায় তাঁর সভামঞ্চে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল প্রতারণায় অভিযুক্ত বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার এক কর্তাকে। চন্দন চক্রবর্তী নামে ওই ব্যক্তিকে দেখে তাঁকে ঘিরে ধরেন অনেক গ্রামবাসী ও আমানতকারী। শেষে পুলিশ এসে তাঁকে স্থানীয় ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। ওই দিন তৃণমূলের সভামঞ্চে তিনি কী করছিলেন, সে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁদের দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে বেআইনি লগ্নিসংস্থার যোগাযোগ যে কতটা গভীর, তা ফের স্পষ্ট হল এই ঘটনায়।
বুধবার ওই সভা করেন অভিষেক। আমানতকারীরা জানিয়েছেন, সারদা-কাণ্ড সামনে আসার পরেই বাঁকুড়া শহরের নতুনচটি এলাকায় ওই সংস্থার অফিসটি বন্ধ হয়ে যায়। গা ঢাকা দেন চন্দনও। চন্দন নিজেই জানিয়েছেন, তাঁদের সংস্থা এই জেলা থেকে প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা তুলেছিল। তৃণমূলের মঞ্চে কী করছিলেন, প্রশ্নে তাঁর জবাব, ‘‘মাস তিনেক ধরেই সক্রিয় ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। দলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁয়ের হয়ে প্রচারও চালাচ্ছি।’’
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমিয় পাত্রের অভিযোগ, “তৃণমূল দলটা চোর, চিটিংবাজদের নিয়ে চলে। কাজেই তাদের সভামঞ্চ থেকে এক জন প্রতারক আটক হবেন, তাতে অবাক হওয়ার কী আছে!” যদিও স্থানীয় সূত্রের খবর, এক সময় সিপিএম কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন চন্দন। বছর চারেক আগে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সে কথা মেনেছেন অমিয়বাবুও। জেলা তৃণমূলের এক নেতার অবশ্য দাবি, ‘‘অনেকে স্বেচ্ছায় বিভিন্ন জায়গায় দলের পক্ষে প্রচার করছেন। এঁদের সকলকে তো চেনা সম্ভব নয়!’’
পুলিশ সূত্রের খবর, টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুচলেকা দিয়ে রেহাই পান চন্দন।
এজেন্টরাও চন্দনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কোথাও কোনও মামলা নেই বলেও প্রাথমিক ভাবে জেনেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy