বালি বাদামতলায় খুলছে সিপিএমের কার্যালয়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
সাহস জুগিয়েছে জোট। আর সেই সাহসে ভর করেই এ বার জেলায় জেলায় বন্ধ পার্টি অফিসের তালা খুলতে নেমে পড়ল সিপিএম।
‘পরিবর্তন’-এর ভোটের পর থেকেই হাওড়া ও উত্তর চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় সিপিএমের পার্টি অফিসে তালা পড়তে থাকে। কিন্তু জোট জমে উঠতেই সাহস দেখাতে শুরু করল সিপিএম। বালিতে একের পর এক দলীয় কার্যালয় খুলতে শুরু করল তারা। তালা ভাঙা হল রাজারহাট-গোপালপুরের সিপিএম পার্টি অফিসেরও।
সিপিএমের অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে বালি ও বেলুড় অঞ্চল মিলিয়ে ২২টি পার্টি অফিস বন্ধ করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৭টি অফিস দখল করে এখন শাসক দলের কার্যালয় তৈরি হয়েছে। বাকি ১৫টির মধ্যে গত এক বছরে ৪টি অফিস পুনরায় খুলেছে সিপিএম। আর বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার পরে খোলা হল আরও ৫টি। হাওড়া জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শঙ্কর মৈত্র বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে এগিয়ে আসছেন। তাঁদের নিয়েই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হচ্ছে। তাই ভয় ভেঙে গিয়েছে।’’
বুধবার খোলা হল বালির দক্ষিণ আঞ্চলিক কমিটির কার্যালয়-‘পতিতপাবন পাঠক ভবন’। সকাল থেকেই ওই অফিস এবং সামনের রাস্তা লাল ঝান্ডায় মুড়ে ফেলা হয়। বিকেলে অফিসের সামনেই জনসভায় উপস্থিত হন বালির সিপিএম প্রার্থী সৌমেন্দ্রনাথ বেরা (অঞ্জন)-সহ জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব। সৌমেন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘বালির নাগরিকদের সহযোগিতা ও সমর্থন নিয়েই পার্টি অফিস খোলার কাজ শুরু হয়েছে। বাকি অফিসগুলিও খোলা হবে।’’
রাজারহাট-গোপালপুরেও চার বছর আগে সিপিএমের একটি পার্টি অফিস তৃণমূল দখল করে নেয় বলে অভিযোগ। সম্প্রতি বাগুইআটি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই অফিসে ঢোকেন সিপিএম নেতারা। তবে এ ক্ষেত্রে গাঁধীগিরির পথই বেছে নেওয়া হয়েছে দাবি করে এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক রবীন মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূলকে জানিয়েই অফিস খুলতে গিয়েছিলাম। ওঁরা এসেই তালা খুলে দিয়েছেন। ভোটের আগেই ওই অফিস খুলব বলে ঠিক করেছিলাম।’’
রাজনীতিকদের একাংশের মতে, হাওড়া বা উত্তর চব্বিশ পরগনায় শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই সিপিএমকে অক্সিজেন জোগাচ্ছে। তার উপর জোটের শক্তি। তবে এই মত উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের হাওড়া জেলা সভাপতি অরূপ রায়। তিনি বলেন, ‘‘৩৪ বছরের পাপের ভয়েই সিপিএম সব অফিস বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন ইচ্ছা হয়েছে খুলছে। আমরা বন্ধ করিনি, খুলতেও বলিনি।’’ তাঁর আরও দাবি ‘‘বালিতে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। সব কাউন্সিলর ও কর্মীরা একজোট হয়ে ভোটের কাজ করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy