গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
গত রবিবারই নজির গড়ে দৈনিক সংক্রমণ ২৪ হাজার ছাড়িয়েছিল রাজ্যে। গত সোমবার তা সামান্য কমলেও আবার মঙ্গলবার থেকে বাড়তে শুরু করেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার নতুন সংক্রমণ আরও কিছুটা আবার ২২ হাজার ছাড়াল রাজ্যে। কলকাতাতেও দৈনিক আক্রান্ত আট হাজারের গণ্ডি পার করার পর সামান্য কমেছিল। বুধবার আবার তা সাত হাজার ছাড়াল মহানগরীতে। বাড়ল উত্তর ২৪ পরগনাতেও। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দার্জিলিঙের কোভিড পরিস্থিতি। বুধবার দৈনিক সংক্রমণের হার সামান্য কমলেও ৩০ শতাংশের উপরেই আছে। কলকাতাতে সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশের বেশি। আরও বাড়ল সক্রিয় রোগী। বাড়ল দৈনিক মৃত্যুও।
বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২২ হাজার ১৫৫ জন। কলকাতায় আক্রান্ত ৭ হাজার ৬০ জন। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর ২৪ পরগনায় ৪ হাজার ৩২৬। দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও সামান্য বেড়ে হল ১ হাজার ৪৩৫। তবে কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া ও হুগলিতে সামান্য কমে হল যথাক্রমে ১ হাজার ৩৬১ এবং ১ হাজার ১০৭।
এক লাফে অনেক বেড়ে দৈনিক আক্রান্ত ৬০০ পার করল নদিয়ায়। ৭০০ ছাড়াল বীরভূমে। পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫০০-র গণ্ডি পার করল নতুন আক্রান্ত। মঙ্গলবারের তুলনায় নতুন সংক্রমণ বাড়ল পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায়।
মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে দৈনিক আক্রান্ত সামান্য কমলেও ৫০০-র উপরেই রয়েছে। মালদহ বাদে উত্তরবঙ্গের বাকি সব জেলাতেই বাড়ল নতুন আক্রান্ত। দৈনিক সংক্রমণ ৫০০ ছুঁয়েছে দার্জিলিঙে। আড়াইশো পার করল জলপাইগুড়িতে।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এর মধ্যে কলকাতায় মারা গিয়েছেন ৭ জন কোভিড রোগী আর উত্তর ২৪ পরগনায় ৮ জন। বুধবার সংক্রমণমু্ক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ১১৭ জন।
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার সামান্য কমে হল ৩০.৮৬ শতাংশ। সংক্রমণের হারের বিচারে জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে কলকাতা (৪১%)। তালিকায় পরেই রয়েছে হাওড়া (৩৭.৭৬), বীরভূম (৩৬.২৩%),উত্তর ২৪ পরগনা (৩৬.১৫%), ঝাড়গ্রাম (৩৫.৯৮%), পশ্চিম বর্ধমান (৩৫.২৫%), দার্জিলিং (৩৫.১১%)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy