সুব্রত ঠাকুরের সঙ্গে ঈশিতা ঠাকুর ।
১২টি আসনে মঙ্গলবার সকালে বিজেপি দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। সেই তালিকায় দেখা যায়, গাইঘাটা আসনে নাম রয়েছে ঠাকুরনগরের মতুয়াবাড়ির অন্যতম উত্তরাধিকারী সুব্রত ঠাকুরের। তবে সুব্রতর স্ত্রী ঈশিতা এই মুহূর্তে অষ্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। সেখানে ‘রেভেনিউ অ্যানালিস্ট’ হিসেবে কর্মরত। স্বামীর প্রার্থী হওয়ার খবর পাওয়ার পর পরই সিডনি থেকে নেটমাধ্যমে ভিডিয়োবার্তায় সুব্রতর হয়ে প্রচারও শুরু করেছেন তিনি।
সুব্রত সম্পর্কে মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মা প্রয়াত বীণাপাণি দেবীর বড় নাতি। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের দাদা। তাঁর বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর একটা সময়ে তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। গাইঘাটা কেন্দ্রে এ বার সুব্রতকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। স্বামী টিকিট পাওয়ায় খুশি ঈশিতা। নেটমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিয়োয় তিনি শুরুতেই নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ-সহ বিজেপি নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রায় আড়াই মিনিটের ওই ভিডিয়োতে তিনি বলেছেন, ‘সুব্রত এই যুদ্ধে জয়ী হলে আমিও অনেক কিছু ভেবে রেখেছি আপনাদের জন্য। তা হলে আমি আপনাদের জন্য সেই সব কাজ করতে পারব’। আগামী দিনেও এমন ভিডিও পোস্ট করবেন বলেও জানিয়েছেন ঈশিতা। ফোনে আনন্দবাজার ডিজিটালকে তিনি বলেন, ‘‘এখনও কোভিড সংক্রমণের কারণে অষ্ট্রেলিয়া থেকে বিমান যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। তাই ইচ্ছে সত্ত্বেও আমি ভোটের সময়ে যেতে পারছি না। তবে নেটমাধ্যমে ভিডিয়ো পোস্ট করেই সুব্রত জন্য প্রচার করব।’’
২০১৫-য় প্রথম বার বনগাঁ লোকসভার উপনির্বাচনে বিজেপি-র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেন সুব্রত। সে বার জেঠিমা মমতাবালা ঠাকুরের কাছে পরাজিত হন। সেই সময়েও ঈশিতা অষ্ট্রেলিয়ায় ছিলেন। কিন্তু সে বার তাঁর এমন উদ্যোগ দেখা যায়নি। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে গাইঘাটা আসনে প্রায় ৩৫ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে পদ্মশিবির। ঈশিতা সেই হিসাব মনে করিয়ে দিয়ে বলছেন, ‘‘এ বারের ভোটযুদ্ধে ওঁর প্রচারে নিজের ভার্চুয়াল উপস্থিতি রাখতে চাইছি। ২০১৫-র পুনরাবৃত্তি এ বার চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy