নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের প্রচার কর্মসূচি শুরু করতে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ‘মহাগুরু’র অবতার থেকে যিনি রবিবারের ব্রিগেডে ‘জাত গোখরো’ হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। বলেছেন, ‘‘এক ছোবলেই ছবি!’’ সেই ‘ছোবল’ শুরু হচ্ছে শুক্রবার, নন্দীগ্রামে বিজেপি-র প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে। অর্থাৎ, তৃণমূল প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে।
ব্রিগেড সমাবেশ থেকে বিজেপি-তে নিজের নতুন রাজনৈতিক ইনিংস শুরু করেছেন মিঠুন। সেদিনই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র হয়ে ১২ মার্চ, শুক্রবার থেকে প্রচারাভিযান শুরু করবেন। সেই মতোই শুক্রবার নন্দীগ্রাম যাবেন মিঠুন। ওইদিনই নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে নিজের মনোনয়ন দাখিল করবেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। সূত্রের খবর, হলদিয়ার প্রশাসনিক ভবনে শুভেন্দুর মনোনয়ন দাখিল কর্মসূচিতেও অংশ নিতে পারেন মিঠুন। মনোনয়ন দাখিল করার পর প্রার্থী শুভেন্দুকে নিয়েই নন্দীগ্রাম যাবেন তিনি। সেখান থেকেই রাজনৈতিক প্রচার শুরু করে দেবেন রুপোলি পর্দার ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’। যদিও মিঠুনের প্রচারসূচি প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি-র তরফে কিছুই জানানো হয়নি। রাজ্যের দ্বিতীয় দফার ভোট ১ এপ্রিল। সেদিনই ভোট নন্দীগ্রামে। তাই মনে করা হয়েছিল, প্রচারের ক্ষেত্রে প্রথম দফার ভোটের উপরেই রাজ্য বিজেপি-র নেতারা মনোনিবেশ করবেন। তারপর দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারে জোর দেবেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা মঙ্গলবার থেকে নন্দীগ্রামে থেকে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। তাই প্রচারের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকতে নারাজ গেরুয়া শিবির। ফলে মিঠুনের মতো ‘ওজনদার তারকা’ প্রচারককে দ্রুত ময়দানে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। দলীয় শীর্ষনেতৃত্বের নীল নকশা মেনেই নন্দীগ্রাম যাবেন মিঠুন।
রাজ্য স্তরের এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীকে হারাতে আমরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করব। তাই মিঠুন’দার সঙ্গে আরও অনেক বড় বড় চমক অপেক্ষা করছে।’’ মিঠুনকে দিয়ে গোটা রাজ্যে প্রচারের পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপি-র। কিন্তু গ্রীষ্মের খর রোদ ও মিঠুনের বয়সের বিষয়টিও পদ্মশিবিরের ভাবনায় রয়েছে। প্রচারের কাজে কী ভাবে মিঠুনকে লাগানো যায়, তা নিয়ে একটি পরিকল্পনাও তৈরি রয়েছে তাঁদের। শেষমুবূর্তে নাটকীয় কিছু না-ঘটলে সেই পরিকল্পনা মেনে মিঠুনের প্রথম গন্তব্য হতে চলেছে নন্দীগ্রাম। ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় বিজেপি-তে যোগ দিয়ে মিঠুন তাঁর জনপ্রিয় ছবি ‘অভিমন্যু’র ডায়ালগ বলেছিলেন। টালিগঞ্জের পরিচিত সংলাপ লেখক এন কে সলিলের লেখা ‘জাত গোখরো’ এবং ‘এক ছোবলে ছবি’ সম্পৃক্ত সেই ছবিতে মিঠুন ছিলেন এক রাগী পুলিশ অফিসারের ভূমিকায়। তাঁর চরিত্রের নাম ছিল ‘অভিমন্যু নাগ’। সেই ‘নাগ’ থেকেই ‘জাত গোখরো’র উৎপত্তি। এখন দেখার, বাস্তবে মিঠুনের ছোবলে সত্যিই তাঁর প্রাক্তন দলের সহকর্মীরা ‘ছবি’ হন। নাকি তাঁদের চক্রব্যূহে ঢুকে পথ হারিয়ে ফেলেন ‘অভিমন্যু’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy