মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আবু হাসেম খান চৌধুরী এবং বিমান বসু।
আব্বাস সিদ্দিকিকে নিয়ে বাম-কংগ্রেস ‘অসন্তোষ’ কি এখনও ছাই চাপা আগুনের মতো জ্বলছে? কংগ্রেসের ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। মঙ্গলবার জল্পনা উস্কে দিলেন মালদহের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা, গনি খান চৌধুরীর ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। দলের ‘নীরব’ নীতিতে না হেঁটে প্রকাশ্যেই দক্ষিণ মালদহের সাংসদ, তথা মালদহ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি জানালেন, জোট সঙ্গী সিপিএম হলেও বাংলায় সরকার গড়ার ক্ষেত্রে তৃণমূলকেই সমর্থন করবে কংগ্রেস। কারণ কংগ্রেস সাম্প্রদায়িকতার বিরোধী। আর রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে এ ব্যাপারে তৃণমূলের সঙ্গেই মিল রয়েছে তাঁদের। রাজ্যে প্রথম দফার ভোট শুরুর দিন কয়েক আগেই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ডালুর মন্তব্যে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে হাতশিবির। প্রয়োজন পড়লে সরকার গড়তে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের হাত মেলানোর সম্ভাবনার কথা খারিজ করে দিয়েছেন আবদুল মান্নান। তাঁর স্পষ্ট কথা, সরকার গড়বে সংযুক্ত মোর্চাই।
মালদহে নিজের বাড়িতেই সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য ডালু। তিনি বলেছেন, সিপিএম আইএসএফের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ঠিকই। তবে কংগ্রেস তা কখনওই সমর্থন করেনি। তার পরেও তারা সংযুক্ত মোর্চায় আছেন। কারণ, ‘‘জোট তো আগেই হয়ে গিয়েছিল।’’ ডালু জানিয়েছেন, তাঁর দল যে কোনও ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিরোধী। কিন্তু এক্ষেত্রে বিজেপি আর আইএসএফে কোনও ফারাক দেখছেন না তিনি। তাহলে সংযুক্ত মোর্চা হল কেন? ডালুর জবাব, ‘‘হয়তো ওরা (বামেরা) ভয় পেয়েছে। হয়তো ভেবেছে একটাও আসন পাবে না। তাই ধর্মের কার্ড দেখিয়ে, আব্বাসের উপর ভর করে যদি কিছু ভোট টানা যায়, সেই চেষ্টাই করেছে ওরা।’’
বাংলায় প্রথমদফার ভোট শুরুর আর বাকি ক’টা মাত্র দিন। তার আগে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতার এই মন্তব্য ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। জোটসঙ্গী বামেদের ‘সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মেলানো’ নিয়ে কটাক্ষ করে ডালুর এই মন্তব্য নিয়ে প্রকাশ্যে কংগ্রেস কিছু বলেনি ঠিকই, তবে রাজনৈতিক কারবারিদের মতে, ভোটের ঠিক আগে কংগ্রেস-সিপিএম-আইএসএফ জোট নিয়ে জনতার কাছে যাতে কোনওরকম অন্তর্দ্বন্দ্বের বার্তা না যায়, সে ব্যাপারে শীঘ্রই ডালুর সঙ্গে কথা বলতে পারেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
অবশ্য আাব্বাসের দল আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে প্রথম থেকেই সিপিএম এবং কংগ্রেসর মধ্যে জটিলতা ছিল। এমনকি ব্রিগেডের সভাতে অধীরের বক্তৃতার সময়ও সেই জটিলতার আঁচ পাওয়া যায়। পরে আসরে নামতে হয় খোদ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুকে। কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরীকে পাশে বসিয়ে তিনি জানান ব্রিগেডে আব্বাসের ব্যবহার সমর্থন করছেন না তিনি। জোট সঙ্গী হিসেবে আব্বাসের উচিত ছিল বাকিদের সঙ্গে একই সুরে গলা মেলানো। ডালু তাঁর বক্তব্যে ব্রিগেডের মঞ্চের সেই প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। আইএসএফ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে যেভাবে সাম্প্রদায়িকতার প্রসঙ্গে টেনে এনেছেন, তাতে স্পষ্ট সংযুক্ত মোর্চার জোট নিয়ে খুশি নন তিনিও।
ডালুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ২ মে-র পর কাকে সমর্থন করবে কংগ্রেস? প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, তৃণমূল তাঁদের সঙ্গে ‘খারাপ ব্যবহার’ করেছে এটা ঠিক। তবে রাজনৈতিক দর্শনের ক্ষেত্রে এখানে তৃণমূলের সঙ্গেই মিল রয়েছে তাঁদের। তাই সরকার গড়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেস তৃণমূলের পাশেই দাঁড়াবে। তৃণমূল যদি সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পায়, তবে তাদের সমর্থন করবে কংগ্রেস।
ডালুর মন্তব্য ঘিরে শোরগোল শুরু হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। পরিস্থিতি আঁচ করে আসরে নামে প্রদেশ কংগ্রেস। ডালুর নাম না করে, মান্নানের ব্যাখ্যা, ‘‘কেউ কেউ বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করছেন যে নির্বাচনের পরে না কি আমরা কোনও দলের সঙ্গে আঁতাত করব। এটা কারও ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে। কিন্তু এটা দলের মত নয়। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, যে ভাবে লড়াই করছি, তাতে সংযুক্ত মোর্চা ক্ষমতায় আসবে। কাউকে সমর্থনের প্রশ্নই নেই। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফেও এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সনিয়া গাঁধী এবং রাহুল গাঁধীও এমন সিদ্ধান্ত দেননি। তাঁদের মধ্যেও দৃঢ় বিশ্বাস এসেছে যে সংযুক্ত মোর্চাই ক্ষমতায় আসবে।’’
ডালুর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মালদহ জেলা সিপিএমের সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘উনি একজন প্রবীণ নেতা। উনি কী বলেছেন, তা আমরা শুনিনি। তবে আএইএসএফ কোনও সাম্প্রদায়িক দল নয়। পিছিয়ে পড়া মানুষকে নিয়ে তৈরি একটি দল। এই দলের প্রার্থী তালিকায় যেমন মুসলিমরা আছেন, তেমনই আদিবাসী নেতা, পিছিয়ে পড়া শ্রেণিভুক্ত হিন্দুরাও আছেন। কোনও সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্ন নেই। আর সিপিএম ভোট পাবে কি না, তা ২ মে-ই দেখবে বাংলা।’’
জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা বলেন, ‘‘কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে আমাদের বক্তব্য নেই। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে নেবে রাজ্য নেতৃত্ব।’’
অবশ্য আাব্বাসের দল আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে প্রথম থেকেই সিপিএম এবং কংগ্রেসর মধ্যে জটিলতা ছিল। এমনকি ব্রিগেডের সভাতে অধীরের বক্তৃতার সময়ও সেই জটিলতার আঁচ পাওয়া যায়। পরে আসরে নামতে হয় খোদ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুকে। কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরীকে পাশে বসিয়ে তিনি জানান ব্রিগেডে আব্বাসের ব্যবহার সমর্থন করছেন না তিনি। জোট সঙ্গী হিসেবে আব্বাসের উচিত ছিল বাকিদের সঙ্গে একই সুরে গলা মেলানো।
ডালু তাঁর বক্তব্যে ব্রিগেডের মঞ্চের সেই প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। আইএসএফ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে যেভাবে সাম্প্রদায়িকতার প্রসঙ্গে টেনে এনেছেন, তাতে স্পষ্ট সংযুক্ত মোর্চার জোট নিয়ে খুশি নন তিনিও। যদিও প্রকাশ্যে কংগ্রেসের তরফে এই জোটের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। মঙ্গলবার দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ডালুর মন্তব্য নিয়ে কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ডালুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ২ মে-র পর কাকে সমর্থন করবে কংগ্রেস? প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, তৃণমূল তাঁদের সঙ্গে ‘খারাপ ব্যবহার’ করেছে এটা ঠিক। তবে রাজনৈতিক দর্শনের ক্ষেত্রে এখানে তৃণমূলের সঙ্গেই মিল রয়েছে তাঁদের। তাই সরকার গড়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেস তৃণমূলের পাশেই দাঁড়াবে। তৃণমূল যদি সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পায়, তবে তাদের সমর্থন করবে কংগ্রেস।
ডালুর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে মালদহ জেলা সিপিএমের সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘উনি একজন প্রবীণ নেতা। উনি কী বলেছেন, তা আমরা শুনিনি। তবে আএইএসএফ কোনও সাম্প্রদায়িক দল নয়। পিছিয়ে পড়া মানুষকে নিয়ে তৈরি একটি দল। এই দলের প্রার্থী তালিকায় যেমন মুসলিমরা আছেন, তেমনই আদিবাসী নেতা, পিছিয়ে পড়া শ্রেণিভুক্ত হিন্দুরাও আছেন। কোনও সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্ন নেই। আর সিপিএম ভোট পাবে কি না, তা ২ মে-ই দেখবে বাংলা।’’
জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা বলেন, ‘‘কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে আমাদের বক্তব্য নেই। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে নেবে রাজ্য নেতৃত্ব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy