করোনা টিকার শংসাপত্রে মোদীর ছবি নিয়ে কেন্দ্রের জবাব চাইল কমিশন।
নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরেও করোনা টিকার শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি কেন? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে জবাব চাইল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। তার পরই এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অবস্থান জানতে চাইল কমিশন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কমিশনের তরফে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিশনের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘প্রথমে সত্যটা জেনে নেওয়া প্রয়োজন। জানতে হবে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশেই প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া শংসাপত্র বিলি করা হচ্ছিল কি না। এ ক্ষেত্রে সব পক্ষের মতামত জানা প্রয়োজন।’’
নির্বাচনে এক মাসেরও কম সময় বাকি থাকতে টিকার শংসাপত্রে মোদীর ছবি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই যেহেতু অভিযোগ জমা পড়েছে, তাই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছ থেকেও এ নিয়ে সবিস্তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।
আগামী ২৭ মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে কমিশন। নিয়ম মাফিক ভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণার দিন থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যায়। তার পরেও বিজেপি-র প্রচারক মোদীর ছবি-সহ করোনার শংসাপত্র বিলি নিয়ে আপত্তি তোলে তৃণমূল।
এ নিয়ে সোমবার টুইটারে প্রথম সরব হন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তার পরেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি করোনা টিকার নথিতে নির্লজ্জের মতো প্রকাশ করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবে তৃণমূল’।
এর পর বৃহস্পতিবার ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান। শুধু করোনা টিকার শংসাপত্রেই নয়, পেট্রোল পাম্প এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সরকারি বিজ্ঞাপনে মোদীর ছবি নিয়েও আপত্তি তোলেন তাঁরা। তার পরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হল কমিশন। যদিও বুধবারই নির্বাচনমুখী সমস্ত রাজ্যের পেট্রোল পাম্প থেকে মোদীর ছবি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy