কর্মিসভায় তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ। শনিবার কান্দিতে। নিজস্ব চিত্র।
খেলা থেকে সরাসরি রাজনীতির ময়দানে। এ বারের লোকসভা ভোটে বহরমপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ক্রিকেট তারকা ইউসুফ পাঠান। শনিবার কান্দি মহকুমার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় কর্মীদের নিয়ে কর্মী সম্মেলন হয় কান্দির হেলিফক্স ময়দানে। ওই সভায় পাঠান বলেন, “বহরমপুর এলাকায় যে পরিমাণ উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। বাসিন্দারা যে ভাবে আমাকে সম্মান দিয়ে গ্রহণ করেছেন তাতে আমি বাড়িতে আছি বলে মনে হচ্ছে।”
কর্মিসভায় তেমন কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে শোনা যায়নি তাঁকে। কিন্তু সভা শেষে দীর্ঘ সময় ধরে খেলা ও রাজনীতি নিয়ে প্রশ্নের নিরলস জবাব দিয়েছেন পাঠান। কখনও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, জেলায় শিল্পের উন্নতির প্রয়োজনের কথা, কখনও আবার ভূয়সী প্রশংসা করলেন হকি, কবাডি ইত্যাদি নানা বিভাগে জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়দের।
অধীর চৌধুরী এলাকায় পাঁচ বারের সাংসদ, ফলে এই লড়াই কী ভাবে করবেন ভাবছেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে ইউসুফ বলেন, “অধীরবাবু ভাল লোক ঠিকই, কিন্তু এলাকায় যে ভাবে উন্নয়নের প্রয়োজন ছিল, তা হয়নি।” তবে খেলা হোক বা রাজনীতি—পরিশ্রম করলেই ভাল ফল পাওয়া যায় বলেও দাবি করেছেন পাঠান। মঞ্চে বেশি ক্ষণ বক্তব্য রাখেননি এমনকি রাজনৈতিক কথাও বলেননি। পরে তিনি বলেন, “এখন অনেক সময় আছে, কথাও অনেক হবে।”
ওই মঞ্চ থেকে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “অধীর চৌধুরীর এ বার জামানত জব্দ হবে। কারণ ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে বহরমপুর কেন্দ্রের মধ্যে থাকা সাতটি বিধানসভার ছ’টিতে তৃণমূলের বিধায়ক জয়ী হয়েছে, বহরমপুরে বিজেপি জয়ী হয়েছে। লোকসভা এলাকায় কংগ্রেস তৃতীয় স্থানে আছে। ফলে কোনও ভাবেই অধীরবাবু এ বার সাংসদ হয়ে দিল্লি যেতে পারবেন না।”
কান্দি মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি শফিউল আলম খান হুমায়ুন সম্পর্কে বলেন, “এক বার এখানে, তো এক বার ওখানে। আবার কিছু পেলেই চুপ করে যাওয়া স্বভাব ওঁর। দু’দিন আগেই যে দলের বিরুদ্ধে কথা বলছিল, এখন আবার সেই দলের সঙ্গে। পাগলের প্রলাপ বকছে আর ওটাই ওঁদের কাজ।”
দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “জেলায় তিনটি আসনেই তৃণমূল জয়ী হবে, এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।” এ দিন বিজেপি প্রসঙ্গে কোনও শব্দ খরচ করেননি তৃণমূল নেতৃত্ব।
শফিউল বলেন, “গুজরাত থেকে সবে বহরমপুরে এসেছেন, এখনও জেলার ভৌগোলিক অবস্থানই জানেন না, তৃণমূলের নেতাদের শেখানো বুলি আওড়াচ্ছে পাঠান।’’ শফিউল বলেন, ‘‘অধীরদাদা এলাকার কী উন্নয়ন করেছেন সেটা তৃণমূলের কাছে শুনতে চাই না, মানুষ জানেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy