— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বড় পরীক্ষা পুলিশের। শহরের ভোট সামলে পাশ করতে হবে গ্রামীণ জনপদে শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর পরীক্ষাতেও। আজ, শনিবার শেষ দফার নির্বাচনের আগে তাই রীতিমতো ‘কড়া হোমওয়ার্ক’ শুরু করেছে লালবাজার। যার জেরে বৃহস্পতিবার রাতেই থানায় থানায় ঘুরেছেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য পুলিশকে সতর্ক থাকতে হবে, সবাইকে ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করতে হবে— এই মর্মে তিনি থানায় থানায় বার্তা দিলেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, সব দিক সামলে শেষ পর্যন্ত পাশ করা যাবে তো?
পুলিশ সূত্রে যদিও জানা যাচ্ছে, গোটা কলকাতা পুলিশ এলাকাকে ৩০ হাজার পুলিশকর্মী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি, ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, তার জন্য শুক্রবার বিকেল থেকেই শহরের পথে টহল দিতে শুরু করেছে কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশের কর্মীদের নিয়ে গঠিত সেক্টর মোবাইল, আরটি মোবাইল। তবে সর্বত্র রাত পর্যন্ত পৌঁছয়নি হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড (এইচআরএফএস)। জানা গিয়েছে, সেক্টর মোবাইল, আরটি মোবাইল এবং এইচআরএফএসে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে থাকছেন রাজ্য পুলিশের চার হাজার কর্মী। আজ, শনিবার ভোর থেকে শহরের রাস্তায় ঘুরবে ৩২৪টি স্পেশ্যাল কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)। সেখানে থাকবেন আট জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ওই দলের মূল কাজ হবে শহরের বিভিন্ন বহুতল এবং বস্তির দিকে নজর রাখা। যাতে কোনও ভাবেই সেখানকার বাসিন্দাদের ভোটদানে কেউ বাধা দিতে না পারে।
লালবাজার জানিয়েছে, এ বার কলকাতা পুলিশকে সামলাতে হচ্ছে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট। যার মধ্যে কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ ছাড়াও রয়েছে যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং জয়নগরের একটি অংশ। মোট বুথের সংখ্যা ৫১৫৮টি। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ১৯৪০টি। সব বুথে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটারদের লাইন নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বে থাকবেন রাজ্য পুলিশের এক জন কর্মী। তারই সঙ্গে থানায় মজুত থাকছে ২২ জনের একটি
বিশেষ দল।
সংশ্লিষ্ট ডিভিশনে থাকছে ৩০ জন পুলিশকর্মীর দল। তাঁরা ডিভিশনের উপ-নগরপালের (ডেপুটি কমিশনার) নেতৃত্বে এলাকায় টহল দেবেন। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ২০ জন উপ-নগরপালের মধ্যে কলকাতা পুলিশের ৮০টি থানার দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক উপ-নগরপালের অধীনে থাকবেন দুই থেকে তিন জন সহকারী নগরপাল (অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার)। তাঁদের দায়িত্বে থাকছে দু’টি থেকে তিনটি থানা। এ ছাড়াও, যুগ্ম-নগরপাল এবং অতিরিক্ত নগরপালের নেতৃত্বে থাকছে কমব্যাট ফোর্স ও র্যাফের বিরাট বাহিনী।
কলকাতা পুলিশ এলাকার ১৩টি আরসি-ডিসি থেকে ইভিএম, ভিভিপ্যাট, কালি-সহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে শুক্রবার বেলা থেকেই ভোটকর্মীরা সংশ্লিষ্ট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছতে শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন কলকাতা পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy