—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ওয়েবকাস্টিংয়ের ক্যামেরা বন্ধ থাকলে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকবে না। শুক্রবার বিষয়টি স্পষ্ট করে জানাল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। তারা জানিয়েছে, সপ্তম দফাতেও সব বুথে ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। বুথের মধ্যে ওয়েবকাস্টিংয়ের ক্যামেরা চালু রাখার দায়িত্ব প্রিসাইডিং অফিসারের। ক্যামেরা না চললে তিনি সেক্টর অফিসারকে জানাবেন। সেখান থেকে দ্রুত ক্যামেরা চালুর চেষ্টা করা হবে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর জল্পনা তৈরি হয়। ওই দিন তিনি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছিলেন, ওয়েবকাস্টিং বন্ধ হলে ভোটগ্রহণও বন্ধ থাকবে। তার পরেই শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কমিশন। তাদের বক্তব্য, ক্যামেরা বন্ধ থাকলে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকবে, এমন কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি।
শেষ দফার ভোটে ওয়েবকাস্টিং নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুথে ওয়েবকাস্টিং চলছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব প্রিসাইডিং অফিসারের। ক্যামেরা অন নেই দেখলে তাঁকে সত্বর সেক্টর অফিসারকে জানাতে হবে। দ্রুত ক্যামেরা চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। শনিবার, সপ্তম দফার ভোটগ্রহণের দিন ভোর সাড়ে ৫টা থেকে চালু করা হবে ওয়েবকাস্টিং ক্যামেরা। কমিশন সূত্রে খবর, এক মাত্র কলকাতার বন্দর এলাকায় ছ’টি বুথে ওয়েবকাস্টিং হচ্ছে না।
শনিবার রাজ্যের ন’টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ। তার আগে শুক্রবার কমিশন জানাল, ওয়েবকাস্টিং বন্ধ থাকলেও চালু থাকবে ভোটগ্রহণ। প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে শুভেন্দু বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, কোথাও ক্যামেরা বন্ধ থাকলে ভোট বন্ধ থাকবে। তাঁর কথায়, ‘‘ইভিএম মেশিন খারাপ হলে, যত ক্ষণ না তা সারানো হচ্ছে, তত ক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। তেমনই আপনাদের মাধ্যমে জনগণের কাছে বলছি, ক্যামেরা বন্ধ থাকলে ভোট করতে দেবেন না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সিইও (মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক) বলেছেন, ক্যামেরা অন করা পর্যন্ত যদি চার ঘণ্টাও লাগে, ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে স্লিপ ইস্যু হবে, রাত ১০টা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ভোট হবে, জেনারেটর এনে ক্যামেরা অন করে।’’ এর পরেই তিনি জানিয়ে দেন যে, গোসাবা এবং বাসন্তীর কিছু বুথ যেখানে নেটওয়ার্ক নেই, তা ছাড়া বাকি বুথে ক্যামেরা বন্ধ থাকা চলবে না। চালু রেখে ভোট করাতে হবে। ক্যামেরা বন্ধ থাকলে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকবে। কমিশন জানাল, ওয়েবকাস্টিং বন্ধ থাকলেও চালু থাকবে ভোটগ্রহণ।
কমিশন সূত্রে খবর, বুথে ক্যামেরা যাতে অন থাকে, তা দেখার দায়িত্ব প্রিসাইডিং অফিসারের। তিনি যদি দেখেন ক্যামেরা অন নেই, তা হলে সেক্টর অফিসারকে জানাবেন। সেক্টর অফিসার জানাবেন রিটার্নিং অফিসারকে। ক্যামেরা চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে শীঘ্র। বুথে ক্যামেরা বন্ধ হলেই রিটার্নিং অফিসারের কাছে যাবে খবর বা অ্যালার্ট। ঠিক কোন সময়ে ক্যামেরা বন্ধ হল, তা সেক্টর অফিসারকে জানাতে হবে প্রিসাইডিং অফিসারের। সেক্টর অফিসার জানাবেন রিটার্নিং অফিসারকে।
ভোটের দিন কোনও বুথে ভোটগ্রহণের পুরো সময় ক্যামেরা সচল থাকলে ভোট শেষে সেক্টর অফিসারে কাছে ‘সার্টিফিকেট’ (রিপোর্ট) দিতে হবে প্রিসাইডিং অফিসারকে। রিপোর্টে জানাতে হবে যে, সারা দিন কোনও সমস্যা হয়নি। এক জন সেক্টর অফিসারের অধীনে রয়েছে ১২টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। কমিশন সূত্রে খবর, ভোর সাড়ে ৫টায় বুথে চালু করতে হবে ক্যামেরা। সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু। কমিশন সূত্রে এও জানা গিয়েছে, ক্যামেরা বন্ধ হলেই ভোটগ্রহণ বন্ধ নয়। প্রিসাইডিং অফিসার সেক্টর অফিসারকে জানাবেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্যামেরা চালু করার ব্যবস্থা করা হবে।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা বন্দর এলাকার ছ’টি বুথে ওয়েবকাস্টিং হচ্ছে না। কমিশন সূত্রে খবর, ওই এলাকায় জ্যামার লাগানো রয়েছে, তাই ওয়েবকাস্টিং করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ওই বুথগুলিতে ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হবে। অন্য দিকে, নেটওয়ার্ক খারাপ হওয়ার কারণে গোসাবা, বাসন্তীর কয়েকটি এলাকায় ওয়েবকাস্টিং হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy