(বাঁ দিকে) কংগ্রেস নেতার বাড়িতে দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
কংগ্রেস নেতার মাতৃবিয়োগের খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে গেলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। বেশ খানিক ক্ষণ কংগ্রেস নেতার বাড়িতে বসলেন। চা খেতে খেতে কথাবার্তা বললেন। কংগ্রেস নেতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বললেন, ‘‘সবার সুখে-দুঃখে যদি পাশে না-থাকতে পারি তো সমাজে থেকে কী লাভ!’’
সদ্য মাতৃহারা হয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রদেশ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী। সেই খবর পেয়েই বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ দেবেশের বাড়িতে চলে যান। প্রার্তভ্রমণ এবং চা-চক্র সেরে কংগ্রেস নেতার পরিবারকে সহমর্মিতা জানান তিনি। দিলীপের এই সৌজন্যে খুশি ওই পরিবারও। আর দিলীপের কথায়, ‘‘আমি বরাবরই সৌজন্যের রাজনীতি করে এসেছি। ওঁর (দেবেশ) মায়ের মৃত্যুর খবরটা শুনে মনে হয়েছে এক বার দেখা করা উচিত। তাই ওঁর বাড়িতে এসেছি। আর এটাই হওয়া উচিত। সমাজে আছি। সবার সুখে-দুঃখে না থাকলে কী লাভ!’’ দিলীপের সংযোজন, ‘‘খড়্গপুরে থাকাকালীনও এটা করেছি।’’
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ বলেন, ‘‘রাজনীতিতে এই সৌজন্য থাকাটাই তো দরকার। আমাদের মতান্তর হতে পারে। কিন্তু, মনান্তর যেন না হয়। আমার মা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীও এসেছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy