পুলিশি প্রহরায় বিশেষ আদালত চত্বর। ছবি: পিটিআই।
শনিবারের পর কি মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে যাবেন আম্মা? না কি ইস্তফা দিতে বাধ্য হবেন তিনি? তামিল রাজনীতির মহা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আপাতত সবার নজর বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতের দিকে। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় শনিবার দুপুরে রায় ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা সেখানে।
এ দিন সকালেই বিশেষ বিমানে করে বেঙ্গালুরু পৌঁছন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মামলার অন্য অভিযুক্ত শশীকলা নটরাজন এবং লাভারাসি। ৬৬ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার হিসাব বহির্ভূত মামলায় অপর অভিযুক্ত শশীকলার ভাইপো এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর পালিত পুত্র সুধাকরণ। রায় ঘোষণার আগে পারাপ্পান্না আগ্রাহারা জেলের এক কিলোমিটার এলাকাকে ছোটোখাটো দূর্গে পরিণত করা হয়েছে। ১৮ বছরের পুরনো এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে এখানকারই বিশেষ আদালতে। রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি জন মাইকেল ডি’কুনহা। মুখ্যমন্ত্রীর ‘ভবিষ্যত্’ জানতে প্রচুর আম্মা সমর্থক জড়ো হয়েছেন এই এক কিলোমিটার সীমানার বাইরে। আগেই বেঙ্গালুরু পৌঁছে গেছেন তামিল মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামলাতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ ও র্যাফ।
১৯৯১ সালে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন জয়া। কিন্তু পাঁচ বছর বাদে তাঁকে সরিয়ে ডিএমকে নেতা এম করুণানিধি ক্ষমতায় ফিরতেই জয়ললিতার বিরুদ্ধে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির মামলা দায়ের হয়। জয়ললিতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২৮ কেজি সোনা, ৮৮০ কেজি রুপো, সাড়ে দশ হাজার শাড়ি, ৭৫০ জোড়া জুতো, ৯১টি দামি ঘড়ি ও আরও অনেক মূল্যবান জিনিস আটক করে আয়কর দফতর। অভিযোগ প্রমাণে আয়কর দফতর তথা সরকার পক্ষ মোট ২৫৯ জন সাক্ষ্যকে হাজির করিয়েছেন এ পর্যন্ত। এর পাল্টা জয়ললিতার তরফে পেশ করা হয়েছে ৯৯ জন সাক্ষীকে। মামলায় অভিযুক্ত কিছু বেসরকারি সংস্থা বারবার দিন পিছনোর আর্জি জানিয়েও শ্লথ করেছেন মামলার গতি। পরে এ ধরনের পাঁচটি সংস্থার বিরুদ্ধে জরিমানা ধার্য করে আদালত। ২০০৩ সালে এক ডিএমকে নেতার আর্জিতে নিরপেক্ষ বিচারের স্বার্থে মামলাটি চেন্নাই থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিবেশী রাজ্যের বেঙ্গালুরুতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy