শহরে বামেদের মিছিল।
নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিচালনার পরে যাঁরা এ ঘটনা সমর্থন করেননি, তাঁদের বামফ্রন্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসার ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদা-কাণ্ডে মদন মিত্র গ্রেফতারের পরে তৃণমূলের সত্ লোকেদের দল ছেড়ে বেরিয়ে আসার আবেদন জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
মুখ্যমন্ত্রীকে সিবিআইয়ের জেরা-সহ একাধিক দাবিতে শনিবার দুপুরে ধর্মতলার লেনিন মূর্তি থেকে মৌলালি পর্যন্ত মিছিল করে বামেরা। মদনের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ময়দানে ক্রীড়ামোদীদের মিছিলে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির প্রসঙ্গ তুলে করে সূর্যবাবু বলেন, “তৃণমূলে এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা চোর নন। সত্ মানুষ। তৃণমূলে অনেক দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক মানুষ আছেন। তাঁদের কাছে আমাদের আবেদন, চোরেদের সঙ্গে না থেকে আমাদের সঙ্গে আসুন। গরিব আমানাতকারীদের টাকা ফেরাতে প্রয়োজনে আমরা ঝান্ডা ছাড়াই আন্দোলনে নামব।”
মিছিলে পোড়ানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল।
মিছিলে উপস্থিত বাম কর্মীদের উদ্দেশে সূর্যবাবু বলেন, “আমাদের মাথা নিচু করে তৃণমূলের সাধারণ কর্মীদের ঘরে যেতে হবে। তাঁদের বোঝাতে হবে। তাঁরা সত্ মানুষ। তাঁদের বুঝিয়ে আমাদের সঙ্গে নিতে হবে।” তৃণমূল কর্মীদের ঘরে গিয়ে কী বলতে হবে, তা-ও জানিয়ে দেন সূর্যবাবু। তাঁর কথায়, “তৃণমূল থাকবে না। এই সরকার থাকবে না। ভেঙে পড়বে।” তৃণমূলের যাঁরা টাকা চুরি করেননি, কেন নেত্রীর কথায় তাঁদের গলায় ‘আমরা চোর’ লেখা ঝুলিয়ে মিছিল করতে হবে, সে প্রশ্নও তোলেন সূর্যবাবু। তিনি ছাড়াও সিপিআইয়ের প্রবীর দেব, ফরওয়ার্ড ব্লকের দেবব্রত রায়, আরএসপি-র সুকুমার ঘোষ বক্তৃতা করেন। দেবব্রতবাবু বলেন, “মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে তাঁর বাড়ির উল্টো দিকে জেলখানার কয়েদিরা নাকি হাত নেড়ে অভিনন্দন জানিয়েছিল। আসলে তারা বুঝেছিল, তৃণমূলের সবাই এক এক করে জেলে যাবে। হাত নেড়ে সে কথাই বলেছিল।” মিছিলের শেষে মমতার কুশপুতুল পোড়ানো হয়।
ডেলোর বাংলোয় সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মমতার বৈঠক, রোজভ্যালির মালিকের সঙ্গে মমতার বৈঠক, মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি কে, কত টাকায় কিনেছেন এই সব প্রশ্ন পুনরায় উত্থাপন করেন সূর্যবাবু। তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। মুখ্যমন্ত্রী কী করে বলেন, এটা কেন্দ্র করছে?” সারদার টাকা কে নিয়েছে, সেই বৃহত্তর ষড়যন্ত্র উন্মোচিত করতে হবে দাবি তুলে সূর্যবাবু বলেন, “শুধু সারদা নয়, অন্য আর্থিক সংস্থার টাকাও আমানতকারীদের ফেরত দিতে হবে।
ছবি: দেবাশিস রায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy