আশ্রমের সামনে রামপালের অনুগামীরা। ছবি:পিটিআই।
‘গডম্যান’ রামপালকে গ্রেফতার করতে গিয়ে তাঁর অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ। মঙ্গলবার হরিয়ানার বারওয়ালায় সত্ লোক আশ্রমের ঘটনা। দিনভর দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।
আদালতের নির্দেশে এ দিন সকালে রামপালের ওই আশ্রমে অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু আশ্রমের চার পাশে আগে থেকেই হাজির হয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা। পুলিশ পৌঁছতেই তাদের লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়ার পাশাপাশি গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। আক্রমণ করা হয় সংবাদমাধ্যকেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, ছোড়ে কাঁদানে গ্যাস। এ দিনের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার।
২০০৬ সালে একটি খুনের অভিযোগে রামপালের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় তাঁকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালত। কিন্তু, যত বারই তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তত বারই তিনি অসুস্থার কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত থেকেছেন। তাঁকে আদালতে হাজির করাতে রাজ্য সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সেই নির্দেশ অগ্রাহ্য করে গত শুক্রবারও হাজির হননি রামপাল। ফলে আদালত অবমাননার দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করা হয়।
আদালতের নির্দেশে এ দিন রামপালের আশ্রমে পৌঁছনো মাত্রই পুলিশকে বাধার মুখে পড়তে হয়। আশ্রমে ঢুকতে গেলে বাধে বিপত্তি। পুলিশের উপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায় রামপালের অনুগামীরা। পরে বুলডোজার নিয়ে এসে আশ্রমের দেওয়াল ভেঙে ভিতরে ঢোকে পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, আশ্রমের ভিতরে প্রচুর মানুষ আটকে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রচুর মহিলা ও শিশু। রামপালের অনুগামীদের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের আশ্রম চত্বর থেকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে সকলেই আতঙ্কে রয়েছেন। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় রামপালকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ফিরে আসতে হয় পুলিশকে। পুলিশের সামনেই বেশ কয়েক জন অনুগামী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
যাঁকে গ্রেফতারের জন্য এ দিন বারওয়ালা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়, সেই ‘গডম্যান’ রামপাল এখন কোথায়? প্রথম দিকে খবর আসছিল রামপালের অনুগামীরা তাঁকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ডেপুটি পুলিশ সুপার এস এন বশিষ্ট-এর দাবি, রামপাল আশ্রমেই আছেন। তাঁকে সেখান থেকে বের করে আনতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে পুলিশকে যে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে সে কথাও স্বীকার করেন বশিষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy