চলছে কড়া নজরদারী।—ফাইল চিত্র।
সন্দেহভাজন পাক চোরাচালানকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পঞ্জাবের আটারি সীমান্তে আহত হলেন তিন বিএসএফ জওয়ান। আটারি-ওয়াঘা এলাকায় ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর ওই সংঘর্ষের ঘটনায় অবশ্য চোরাচালানকারীদের কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি।
বিএসএফ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ১টা নাগাদ বিএসএফের ১৬৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের এক দল জওয়ান রুটিন নজরদারিতে বেরিয়েছিলেন। ভিকিউইন্দ চেকপোস্টের কাছে তাঁদের গাড়ি পৌঁছতেই আচমকা শুরু হয় গুলিবর্ষণ। ঘটনাস্থল থেকে ওয়াঘার রিট্রিট সেরিমোনির অনুষ্ঠানস্থল মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিন জওয়ানের শরীরে গুলি লাগে। পাল্টা জবাব দেয় বিএসএফ। কিন্তু অন্ধকারের সুযোগে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আহত জওয়ানদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাঁদের আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিএসএফের এক আধিকারিক দাবি করেছেন, “সীমান্তের ওপার থেকে আচমকা গুলি চলতে শুরু করে। পাক চোরাচালানকারীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” দুষ্কৃতীরা মোট ১১ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বিএসএফের পঞ্জাব ফ্রন্টিয়ারের আধিকারিকেরা। এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
এর আগেও একাধিক বার সীমান্তের চোরাচালানকারীদের সঙ্গে গুলির লড়াই হয়েছে জওয়ানদের। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাঁজা-সহ প্রচুর পরিমাণে মাদক। বিএসএফ সূত্রে খবর, চলতি বছরে প্রায় ১২৫ কিলোগ্রাম মাদক উদ্ধার করা হয়েছে সীমান্ত থেকে। এর মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোগ্রাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অমৃতসরের কাছে পাক সীমান্ত থেকেই। গত বছর মোট ৩৬১ কিলোগ্রাম মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy