আদালতে পেশ করা হল শাহনুর আলম-কে ( বাঁদিকে)। শনিবার পিটিআইয়ের তোলা ছবি।
খাগড়াগড় কাণ্ডের অন্যতম চক্রী অসম থেকে ধৃত শাহনুর আলমকে ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন কামরূপের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। তার বিরুদ্ধে ১২০বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র) এবং ১২১ (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা) ধারায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে অসম পুলিশ।
শনিবার ব্যাপক নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আদালতে হাজির করা হয় শাহনুরকে। অসমে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-র ওই সদস্যের কাছ থেকে সংগঠনের ব্যাপারে জানতে চেয়ে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান গোয়েন্দারা। আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
শুক্রবার নলবাড়ি জেলা থেকে অসম পুলিশের স্পেশ্যাল ব্র্যাঞ্চের বিশেষ ইউনিট জেএমবি-র সদস্য শাহনুরকে গ্রেফতার করে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানতে পারে অসম থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মাদ্রাসায় এসে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিত বহু যুবক-যুবতী । সেই সূত্রেই উঠে আসে পেশায় দন্ত চিকিত্সক বরপেটার চটলা গ্রামের বাসিন্দা শাহনুর ওরফে ‘ডাক্তার’এবং তার স্ত্রী সুজানা বেগমের নাম। শাহনুরের হদিশ পেতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করে এনআইএ।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দাঁতের চিকিত্সার আড়ালে শাহনুর, তার স্ত্রী সুজানা এবং ভাই জাকারিয়া জেহাদি সংগঠন জামাতের হয়ে কাজ করত। বিদেশ থেকে হাওলার মাধ্যমে আসা টাকা পশ্চিমবঙ্গে জেহাদিদের কাছে পৌঁছেও যেত শাহনুরের মাধ্যমে। তার স্ত্রী সুজানা চটলার মাদ্রাসায় মেয়েদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিত বলে অভিযোগ।
বর্ধমান বিস্ফোরণ-কাণ্ডে অসমের যোগসূত্র প্রকাশ্যে আসার পর দুই সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে গা ঢাকা দেয় শাহনুর। মুকালমুয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে সমস্ত নথিপত্র মাটিতে পুঁতে রেখে পালায় সে। গত ৬ নভেম্বর গুয়াহাটির বাস টার্মিনাস থেকে শিশু পুত্র সহ-সুজানাকে ধরেন গোয়েন্দারা। তাকে জেরা করে পুঁতে রাখা নথির কথা জানতে পারেন গোয়েন্দারা। শাহনুরের খোঁজে এর আগে মেঘালয় এবং অসমের ধুবুরিতে হানা দেন তাঁরা। কিন্তু অল্পের জন্য তাঁদের হাত ফস্কে পালায় সে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুকালমুয়ার লারকুচি গ্রামে হানা দেন গোয়েন্দারা। বার দু’য়েক পালাতে সক্ষম হলেও ওই দিন সেখান থেকেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে শাহনুর।
বর্ধমান কাণ্ডে এর আগে অসম থেকে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy