উপকূল থেকে আর মাত্র ৬১০ কিলোমিটার দূরে হুদহুদ। আবহবিদদের হিসাব অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই স্থলভূমিতে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। আর এর মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়ল ওড়িশা সরকার। সূত্রের খবর, সম্ভাব্য যে জেলাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, ইতিমধ্যেই সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২৫টি দলকে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ১০টি দল রাজ্যের। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের বিশেষ কমিশনার পি কে মলহোত্র এ দিন জানান, ওই জেলাগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যেতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলিকে। ওই সমস্ত জেলায় কেউ যেন কাঁচা বাড়িতে না থাকেন, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। যথেষ্ট পরিমাণে শুকনো খাবার মজুদ রাখা এবং আশ্রয় শিবিরগুলিতে রান্নার ব্যবস্থা রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বারের ঝড়ে রাজ্যকে মৃত্যুহীন রাখতে কোনও ব্যবস্থারই ত্রুটি রাখতে চাইছে না ওড়িশা সরকার।
দিল্লির মৌসম ভবন সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ছিল ওড়িশার গোপালপুর থেকে ৬১০ কিলোমিটার দূরে। পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিমমুখী এই ঝড় রবিবার দুপুর নাগাদ আছড়ে পড়বে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে। আগামী ১২ ঘণ্টায় ঝড়টি শক্তিবৃদ্ধি করে তীব্র থেকে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহবিদরা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ ওড়িশায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। কটকের নিচু এলাকাগুলিতে মজুদ রাখা হয়েছে শ-দু’য়েক পাম্প। পূর্ব গোদাবরী, শ্রীকাকুলাম-সহ অন্ধ্রের বেশ কিছু অঞ্চলেও অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঝড়ের তীব্রতায় সমুদ্রে ১-২ মিটার পর্যন্ত ঢেউ উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহবিদরা। স্বাভাবিক ভাবেই সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মত্স্যজীবীদের।
হুদহুদ মোকাবিলায় ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। এ বিষয়ে রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কেন্দ্রের তরফে ২৪ ঘণ্টাই পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy