মাধ্যমিকের পর শাখা এবং বিষয় নির্বাচন কী ভাবে? প্রতীকী ছবি।
মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়েছে গত ১৯ মে, শুক্রবার। এতদিন ছিল পরীক্ষায় কেমন ফল হবে তার চিন্তা। ফলপ্রকাশের পর অন্য জিনিস নিয়ে চিন্তার ভাঁজ কপালে। কারও কারও ইতিহাস পড়তে ভাল লাগে খুব, কিন্তু ফল ভাল হওয়ায় বাবা-মা চাইছেন বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হোক তাঁদের সন্তান। আবার কারও ক্ষেত্রে উল্টো। আশা ছিল পরীক্ষার ফল ভাল হবে। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কেরিয়ার গড়তে পারবে। কিন্তু আশানুরূপ ফল না হওয়ায় বিভ্রান্তিতে পড়েছে সে। তা হলে এ বার কী নিয়ে ভর্তি হওয়া যায়? সেই নিয়েই আলোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বর্তমান ডেপুটি সেক্রেটারি তথা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের দিশা দেখাতেই তাঁর এই প্রতিবেদন।
মাধ্যমিক জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। একইসঙ্গে এই পরীক্ষার গুরুত্বও অসীম। কেননা ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য এই স্তর থেকেই নিজেদের লক্ষ্য স্থির করে নিতে হয়। তাই পড়ুয়াদের নিজস্ব পছন্দ এবং ইচ্ছের বাইরেও শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বাবা মায়ের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
উচ্চমাধ্যমিকে বিভিন্ন বিষয় বা শাখা নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে গুরুত্বপূর্ণ দিক মাথায় রাখা প্রয়োজন:
১। নিজের পছন্দ, বাবা-মা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকার পরামর্শ ছাড়া বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া উচিত না। কেননা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেদেরই গড়তে হবে। বন্ধুর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিষয় নির্বাচনে ভুল হলে আদতে নিজেদেরই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে না এবং শেষমেশ পরীক্ষায় মিলবে খারাপ নম্বর।
২। বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে, ওই বিষয় নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের পর কতদূর এগোনো যাবে। কতটা ‘কেরিয়ার প্রসপেক্ট’ আছে বিষয়গুলির।
৩। একইসঙ্গে পড়ুয়ারা যাচাই করে দেখে নিতে পারে, বিষয়গুলি ঠিক কী ধরনের। এর জন্য যারা ইতিমধ্যেই ওই বিষয়গুলি নিয়ে পড়ছে, তাদের থেকে বই সংগ্রহ করে একটি আগাম ধারণা তৈরি করে নিতে পারে পড়ুয়ারা।
এ বার জানা যাক, বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কোন শাখায় কোন কোন বিষয় থাকে?
উচ্চমাধ্যমিক স্তরে রয়েছে আর্টস (কলা), কমার্স (বাণিজ্য) এবং সায়েন্স (বিজ্ঞান) শাখা। এর মধ্যে আর্টস-এ থাকে ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি, ইতিহাস, ভূগোল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মনস্তত্ত্ব, সংস্কৃত, পুষ্টিবিদ্যা, সমাজবিদ্যা ,শারীরশিক্ষা, এডুকেশন, পরিবেশবিদ্যা, ইত্যাদি বিষয়। বাণিজ্য শাখায় রয়েছে অ্যাকাউন্টেন্সি, বিজনেস স্টাডিজ, অঙ্ক ইত্যাদি বিষয়। বিজ্ঞান শাখায় থাকে গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীবনবিজ্ঞানের মতো বিষয়। এই বিষয়গুলি পড়ে এর পর চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে চাকরির চেষ্টা করা যেতে পারে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সিভিল সার্ভিস-এর জন্য বা অন্যান্য সরকারি চাকরির জন্য।
তবে অনেকেই দশমের পর উচ্চমাধ্যমিকের জন্য স্কুলে ভর্তি না হয়ে চাকরির জন্য বিভিন্ন কোর্সও করতে পারে। সেই বিকল্পের খোঁজ রইল-
ভবিষ্যতের কর্মসংস্থানের জন্য উচ্চমাধ্যমিক স্তরেই আর কী কী কোর্স করা যেতে পারে?
১। পড়ুয়ারা দশমের পর পলিটেকনিক পড়ে সরকারি ক্ষেত্রে টেকনিশিয়ান, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, আইটি অ্যাসিস্ট্যান্টের পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রেও জুনিয়র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো পদে চাকরি করতে পারে। অথবা এর পর বিটেকও পড়তে পারে পড়ুয়ারা।
২। বিভিন্ন ভোকেশনাল বা বৃত্তিমূলক কোর্সও করতে পারে পড়ুয়ারা। এগুলি দ্রুত চাকরির পথ খুলে দেয়। এর মধ্যে আইটিআই, ট্যুরিজম এবং হসপিটালিটি, অটোমোবাইল, প্লাম্বিং, কনস্ট্রাকশন, কৃষি এবং বিদ্যুৎ-সহ নানা কোর্স রয়েছে।
৩। মাধ্যমিকের পর নার্সিং-সহ বিভিন্ন প্যারামেডিকেল কোর্সও করতে পারে পড়ুয়ারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy