Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Artificial Intelligence

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়টি কী? এই বিষয় পড়ে কোন পাঁচ পেশা বেছে নিতে পারেন, জেনে নিন

স্বাস্থ্যক্ষেত্র, শিক্ষা থেকে শুরু করে ব্যবসা ও অটোমোবাইল পর্যন্ত সমস্ত ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে এই বিষয় সম্পর্কিত চাকরির সুযোগও, যেখানে বেতন কাঠামো আকর্ষণীয়।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ ২২:০০
Share: Save:

সভ্যতার অগ্রগ্রতির সঙ্গে প্রযুক্তিগত উন্নতি ঘটেছে। আর সেই প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে যে বিষয়গুলির চাহিদা বাজারে রীতিমতন বেড়ে গেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স তার মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে বিশ্বে এমন কোনও ক্ষেত্র নেই, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেওয়া হয় না। স্বাস্থ্যক্ষেত্র, শিক্ষা থেকে শুরু করে ব্যবসা ও অটোমোবাইল পর্যন্ত সমস্ত ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। নানা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার আমাদের জীবনকেও তাই আগের চেয়ে অনেক সহজ করে তুলেছে। এ ছাড়া, বেড়েছে এই বিষয় সম্পর্কিত চাকরির সুযোগও, যেখানে বেতন কাঠামো আকর্ষণীয়। তাই এ বার ঝটপট চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক এই বিষয়ের নানা দিকে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়টি কী?

সহজ ভাবে বললে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আসলে এমন একটি বিষয় যেখানে মানুষের বৃদ্ধি দিয়ে যে কাজ গুলি সম্পন্ন করা সম্ভব, সেগুলিই কম্পিউটার বা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবটের মাধ্যমে করা যায়। মূলত নানা সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন তথ্যভান্ডার ও কম্পিউটার সায়েন্সের সাহায্য নেওয়া হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আজকাল অনেক সময়ই এর বিভিন্ন উপশাখা মেশিন লার্নিং ও ডিপ লার্নিংয়ের পরিপূরক ভাবা হয়। আদতে এই বিষয়গুলি সম্পর্কিত হলেও সম্পূর্ণ ভাবে এক নয়।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভবিষ্যত:

ভারতবর্ষে এই বিষয়টি সদ্য আবির্ভূত হলেও, এর যে এক উজ্বল ভবিষ্যত রয়েছে, তা অস্বীকার করা যায় না। বিভিন্ন সংস্থা বর্তমানে এ রকম চাকরিপ্রার্থীদেরই খোঁজে রয়েছে, যাঁদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর দক্ষতা রয়েছে। বিশেজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতবর্ষে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আর কোনও ক্ষেত্রই বাকি থাকবে না, যেখানে প্রযুক্তিগত এই উন্নতি কাজে লাগবে না। এর জন্যেই এই বিষয়কে পেশা হিসাবে বেছে নিলে এক উজ্বল কেরিয়ার গড়তে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এমনকি সেই কারণেই আগামী বছর থেকে উচ্চমাধ্যমিকে ডেটা সায়েন্স ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়টিকে যোগ করা হয়েছে।

এই বিষয়টি পড়ে কোন কোন পেশা নির্বাচন করতে পারেন?

১.বিগ ডেটা অ্যানালিস্ট: বিগ ডেটা অ্যানালিস্টদের কাজ হল বিভিন্ন পুরোনো ডেটা থেকে একটি অর্থপূর্ণ ধরন খুঁজে বের করা, যা দেখে ভবিষ্যতের ব্যাপারে খানিকটা আন্দাজ করা যায়। ডেটা অ্যানালিস্ট হিসাবে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ও টুলস সম্পর্কে অবহিত হতে হয় এবং ডেটা মাইনিং ও ডেটা অডিটিং-এর ধারণা থাকতে হয়।

২.বৈজ্ঞানিক গবেষক: বৈজ্ঞানিক গবেষকরা ফলিত গণিত, মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং এবং গণনামূলক পরিসংখ্যানবিদ্যায় দক্ষ হয় এবং গবেষণাগারে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালায়। এঁদের কম্পিউটার সায়েন্স বা এই সম্পর্কিত কোনও বিষয়ে কোনও উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি থাকতে হয়।

৩.বিজনেস ইন্টেলিজেন্স ডেভেলপার: বিজনেস ইন্টেলিজেন্স ডেভেলপারদের মূল কাজ হল ডেটা অ্যানালেটিক্স ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়িক ও বাজার সম্পর্কিত বিভিন্ন ট্রেন্ড পর্যালোচনা করা। এ ছাড়াও, তাঁরা কোম্পানির বিভিন্ন সফ্টওয়ার তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করে ব্যবসায়িক কৌশলগুলি ঠিক করে। এই পেশাটির চাহিদা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে, কেননা এখন প্রতিটি ডেটা-নির্ভর সংস্থাতেই এমন লোকের প্রয়োজন রয়েছে যাঁদের বিজনেস ইন্টালিজেন্স নিয়ে জ্ঞান আছে।

৪.রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ার: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে রোবোটিক্সের ব্যবহার শুরু হওয়ার পর এখন উল্লেখযোগ্য শিল্পক্ষেত্রে নানা যন্ত্রাংশের প্রোগ্রামিংয়ের জন্য রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এঁদের মূলত বিভিন্ন রোবট বা রোবোটিক ব্যবস্থার সৃষ্টি, নির্মাণ, পরীক্ষানিরীক্ষার কাজগুলি করতে হয়। এই রোবোটিক ব্যবস্থাগুলি আসলে মানুষের দ্বারা যে কাজগুলি করা সম্ভব নয়, সেগুলি সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।

৫.সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার: এক জন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে নানা প্রোগ্রাম তৈরি করতে হয় যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন টুল কাজ করে। তাঁদের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমে বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর শিক্ষাকেই এঁরা সফটওয়্যার বানানোর সময় কাজে লাগান।

পশ্চিমবঙ্গে যে উল্লেখযোগ্য কলেজগুলিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা পড়ানো হয়, সেগুলি হল--

১. এনএইচএম স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি

২. ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট

৩. হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি

৪. নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি

৫. হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি

একজন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইঞ্জিনিয়ারের বেতন কাঠামো আনুমানিক বার্ষিক ৮.৮ লক্ষ টাকা। এই ক্ষেত্রে চাকরির চাহিদার সঙ্গে উন্নতিরও প্রচুর সম্ভাবনা থাকে আর তাই এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাও বেশ কঠিন হয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy