Advertisement
E-Paper

ডেনার প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি, ৯ জেলায় স্কুল ভবনগুলির ক্ষয়ক্ষতির হিসাব চাইল রাজ্য সরকার

চিঠিতে মূলত তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্কুল ভবনের ক্ষয়ক্ষতি, বই বা খাতা নষ্ট এবং পড়ুয়াদের পরীক্ষার উত্তরপত্রের নষ্ট হয়েছে কিনা। তা স্কুলগুলিকে দ্রুত জেলা পরিদর্শকদের মাধ্যমে সরকারকে জানাতে বলা হয়েছে।

সংগৃহীত চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৫১
Share
Save

ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র প্রভাবে দুর্যোগ কাটতেই রাজ্যের নয় জেলার স্কুলগুলির কোন‌ও ক্ষতি হয়েছে কিনা তা জানতে চাইল রাজ্য সরকার। এই মর্মে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে জেলা পরিদর্শকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠি ইতিমধ্যে ডি আইরা পাঠিয়ে দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে। এই চিঠিতে মূলত তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্কুল ভবনের ক্ষয়ক্ষতি, বই বা খাতা নষ্ট এবং পড়ুয়াদের পরীক্ষার উত্তরপত্রের নষ্ট হয়েছে কিনা। তা স্কুলগুলিকে দ্রুত জেলা পরিদর্শকদের মাধ্যমে সরকারকে জানাতে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “রিপোর্ট তো নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কি কারণে নেওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট করে বললে ভাল হত। বিশেষ করে পরিকাঠামোগত কোনও ক্ষতি হলে তা সারিয়ে তোলার জন্য টাকা দেওয়া হবে কিনা তা স্পষ্ট করলে স্কুলগুল‌িও সে ভাবেই পদক্ষেপ করত।”

দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদনীপুরের মতো উপকূলবর্তী জেলাগুলির বেশ কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, প্রত্যেক বছর ঝড়ের পর সরকারের তরফ থেকে ক্ষতির জন্য নাম নথিভুক্ত করণ করা হয়। ‘ডেনা’ কার্যত নির্বিষ হওয়ায় সে ভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে, ইয়াস, আমফানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল স্কুলগুলির। কিন্তু তার টাকাও এখনও পর্যন্ত বহু স্কুল পায়নি বলে অভিযোগ।

সুন্দরবন অঞ্চলের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি বলেন, “প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও একই ভাবে নাম নথিভুক্তকরণের কাজ করানো হচ্ছে। যদিও এ বছর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বললেই চলে। তবে বিগত বছরের বিভিন্ন ঝড়ে যে ক্ষতি হয়েছে, তার টাকা এখনও পর্যন্ত পাইনি। পেলেও তা জানানো হয়নি।”

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড়ের সর্তকতায় নয় জেলায় ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এই ন’টি জেলা হল, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া এবং কলকাতা।

কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “এই ঝড়ের ফলে সে ভাবে স্কুল ভবনগুলির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে এখন‌ও পর্যন্ত কোনও খবর আসেনি। তবে সরকার স্কুলের পরিকাঠামো নিয়ে চিন্তিত, তা একটি ভাল উদ্যোগ। আমরা চাই কোথাও কোন‌ও ক্ষতি হলে তার মেরামতির টাকা যেন দ্রুত পাঠানো হয়।”

Cyclone Schools

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}