প্রতীকী ছবি।
পরীক্ষার মূল্যায়ন ব্যবস্থা ত্রুটিমুক্ত করতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, সেই উদ্দেশ্যে ১৫০ জনের বেশি পরীক্ষককে পরীক্ষার মূল্যায়ন ব্যবস্থার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল।
পর্ষদ সূত্রের খবর, গত বছর পরীক্ষার খাতার মূল্যায়নের পর দেখা গেছে, সেই মূল্যায়নের মধ্যে একাধিক ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল। নম্বরের যোগফলের ক্ষেত্রেও গরমিল লক্ষ্য করা গেছে। বহু পরীক্ষার্থীর খাতা রিভিউয়ের পর কারও ১০ থেকে ১৫ নম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্ষদের মূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল একাধিক মহলে। এ বছর যাতে এই ধরনের কোন প্রশ্নের সম্মুখীন না হতে হয় তাই আগে থেকেই সতর্ক মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমরা চাইছি পরীক্ষার্থীদের খাতা যেন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়, কোনও রকম ত্রুটি-বিচ্যুতি ছাড়াই। এর ফলে আমাদের এই কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়েছে।”
এ বছরই প্রথম ১৫০ জনের বেশি পরীক্ষক এবং সাত জন প্রধান পরীক্ষককে বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ২০ শতাংশ নতুন প্রধান পরীক্ষককেও নিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় পরীক্ষার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সে জন্য প্রধান পরীক্ষকদের নিয়ে ‘ওরিয়েন্টেশন’-এর প্রোগ্রাম শুরু করা হচ্ছে, মঙ্গলবার থেকে চারটি জ়োনে ভাগ করে প্রায় ৬০০-এর বেশি প্রধান পরীক্ষককে নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হবে ।
শুধু পরীক্ষার মূল্যায়ন ব্যবস্থা নয়, মূল্যায়নের পর এ বছর থেকে রেজাল্ট আপডেট বা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনলাইন ব্যবস্থা চালু করছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই অনলাইন ব্যবস্থাকে শিক্ষক সংগঠনগুলি স্বাগত জানালেও প্রযুক্তির ব্যবহারের ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার ক্ষেত্রে সতর্ক বার্তা দিয়েছে সংগঠনগুলি।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সব কিছু অনলাইনে করা সমর্থনযোগ্য। কিন্তু পরিকাঠামোগত ত্রুটি এবং দক্ষ লোকের অভাবে যাতে বিষয়টি থমকে না যায় সে দিকটাও পর্ষদের নজর রাখা উচিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy