প্রতীকী চিত্র।
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই প্রকাশ হতে চলেছে টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)- এর ফল। ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর আয়োজিত হয়েছিল প্রাথমিক টেট। কিন্তু পরীক্ষার পর প্রায় সাত মাস অতিক্রান্ত হলেও কবে ফল বেরোবে, তা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল প্রশ্ন। অবশেষে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, সামনের মাসে প্রথম সপ্তাহে ফল ঘোষিত হবে।
পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “আমাদের আনসার কি নিয়ে করা চ্যালেঞ্জ গ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এ বার ফাইনাল অ্যানসার কি আপলোড করা হবে। তার পরেই আমরা ফল ঘোষণা করব।”
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই বছরে দু’বার টেট গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন পর্ষদের সভাপতি। সেই মতো দ্বিতীয় পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর। তাতে ২২ সালের তুলনায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ কম ছিল। পরীক্ষার্থী হিসেবে রেজিস্টার করেছিলেন ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন। টেটে বসেন প্রায় ২ লক্ষ ৭২ হাজার পরীক্ষার্থী।
৭ই মে পরীক্ষার আনসার কি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কোন প্রশ্নের সঠিক উত্তর কোনটি, তা জানানো হয়। যদি কোনও প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিয়ে কোনও পরীক্ষার্থীর দ্বিমত থাকে, সেক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ করারও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ জানানোর সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছিল ১০ মে থেকে ৯ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত।
এর পরে পর্ষদের বিশেষজ্ঞরা সমস্ত কিছু যাচাই করার পরে চূড়ান্ত আনসার কি প্রকাশ করবেন। এবং তার ভিত্তিতেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ছয় লক্ষেরও বেশি। ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা শুধু কমেনি, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও ছিল যথেষ্ট পরিমাণে কম। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ব্যাখ্যা, যেহেতু এ বছর খালি ডিএলএড উত্তীর্ণরাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলেন, তাই এই সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy