প্রতীকী চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে সিমেস্টারের অনুকরণে এ বার বৃত্তিমূলক পরীক্ষা হবে একাদশ এবং দ্বাদশে। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনটাই জানাল পশ্চিমবঙ্গ কারিগরি শিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক দফতর। একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে মোট চারটি সিমেস্টার দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। একাদশ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় সিমেস্টার এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে তৃতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টার। উচ্চ মাধ্যমিকের মতো বৃত্তিমূলক পরীক্ষাতেও প্রথম ও তৃতীয় সিমেস্টার হবে মাল্টিপল চয়েজ় প্রশ্ন, আর দ্বিতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টারে থাকবে ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন।
উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকে যে সমস্ত পড়ুয়া হাতেকলমে প্রশিক্ষিত হয়ে কাজ করতে চায়, তারাই মূলত এই বৃত্তিমূলক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে। রাজ্য জুড়ে ১২৫০টিরও বেশি বৃত্তিমূলক পাঠক্রম পড়ানো হয়। তার মধ্যে হোম সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, এগ্রিকালচার, বিজনেস অ্যান্ড কমার্স-- এই চারটি বিষয় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পড়ানো হয়। এগুলির মধ্যে বেশ কিছু পাঠক্রমে ‘স্পেশালাইজেশন’-এর বিষয়ও পড়ানো হয়। সেগুলি হল- বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন, অটোমোবাইল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি। এই পাঠক্রমে প্রথম সিমেস্টার শুরু হবে মে মাস থেকে। চলবে অক্টোবর পর্যন্ত। একই ভাবে দ্বিতীয় এবং চতুর্থ সিমেস্টার শুরু হবে নভেম্বর মাস থেকে। চলবে এপ্রিল মাস পর্যন্ত।
উচ্চ মাধ্যমিকের মতো বৃত্তিমূলক সিমেস্টারেও থাকছে ‘সাপ্লিমেন্টারি' পরীক্ষার ব্যবস্থা। কোনও পরীক্ষার্থী প্রথম সিমেস্টারে কোনও বিষয়ে অকৃতকার্য হলে দ্বিতীয় সিমেস্টারের সঙ্গে প্রথম সিমেস্টারের সাপ্লি হিসেবে সেই বিষয়ের পরীক্ষা দিতে পারবে।দ্বিতীয় সিমেস্টারে সমস্ত বিষয়ে ন্যূনতম পাশ নম্বর না পেলে তাকে ফেল বলে গণ্য করা হবে। দ্বাদশ শ্রেণিতে তৃতীয় সিমেস্টারে যদি কেউ অকৃতকার্য হয়, তাহলে চতুর্থ সিমেস্টারের সঙ্গে সেই পরীক্ষায় বসতে পারবে একই দিনে। যদি তাতেও অকৃতকার্য হয়, তা হলে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার একটি বছর নষ্ট হবে। পরের বছরে যে বিষয়গুলি পাশ করতে পারেনি, সেগুলি আবার দিতে হবে পরীক্ষার্থীকে। এক জন পরীক্ষার্থী পাঁচ বছর সময় পাবে বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় পাশ করার জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy