প্রতীকী চিত্র।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক। পরীক্ষা চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। রাজ্যের স্কুলগুলিতে এই ক’দিন পরীক্ষা চলাকালীন প্রাথমিকের কোনও ক্লাস নেওয়া হবে না। সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এমনটাই জানানো হয়েছে রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে।
সংসদের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক চলাকালীন পরীক্ষাকেন্দ্রের একই প্রাঙ্গণে অবস্থিত ইন্টিগ্রেটেড প্রাথমিক স্কুলগুলির প্রাথমিক বিভাগের সমস্ত ক্লাস এবং অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিত রাখা হবে। তবে পরীক্ষাকেন্দ্র এবং প্রাথমিক স্কুল যদি একই প্রাঙ্গণে অবস্থিত না হয়, তা হলে এই নিয়ম কার্যকর হবে না। স্কুলগুলিতে ক্লাস হবে নিয়ম মেনেই। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ক্লাস স্থগিত রাখার বিষয়টি এগজ়াম ভেন্যু সুপারভাইজ়ারকেই পড়ুয়াদের জানাতে হবে। এই প্রসঙ্গে সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “প্রায় ২৪০০ মতো স্কুলকে এ বার পরীক্ষাকেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির সঙ্গে একই ক্যাম্পাসে যে প্রাথমিক স্কুলগুলি রয়েছে, সেখানে উচ্চ মাধ্যমিক চলাকালীন কোনও ক্লাস নেওয়া যাবে না। তবে, ‘স্ট্যান্ড অ্যালোন’ স্কুল বা পরীক্ষাকেন্দ্রের থেকে দূরে অবস্থিত অন্যান্য প্রাথমিক স্কুলে সমস্ত ক্লাসই নেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে না।”
কিছুদিন আগেই এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে এ বছরের পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের ৯টার মধ্যেই নির্ধারিত পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। শিক্ষকদের পৌঁছে যেতে হবে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে সংসদের নয়া বিজ্ঞপ্তি নিয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধানশিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “ এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক সময় পরিবর্তন হওয়ায় সকালবেলা প্রাথমিকের ক্লাসের আয়োজন করা বেশ সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই সংসদের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই বাস্তবভিত্তিক এবং যুক্তিসম্মত।”
প্রায় একই মত যোধপুর গার্লস হাই স্কুলের সহ-প্রধানশিক্ষিকা অজন্তা চৌধুরীরও। তিনি বলেন, “ একদিকে ক্লাস না হওয়ায় বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে ঠিকই। কিন্তু যে সমস্ত স্কুলকে পরীক্ষাকেন্দ্র হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে, সেখানে সকালে প্রাথমিকের ক্লাস হলে পরীক্ষার জন্য ‘সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট’-এ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের ছুটি থাকলে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy