সংগৃহীত চিত্র।
রাজ্য জয়েন্ট এনট্রান্স বোর্ডের কেন্দ্রীয় ভাবে কাউন্সেলিংয়ের পরও ফাঁকা রয়ে গেল কলকাতা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন। আসন পূরণ করার জন্য এ বার উচ্চশিক্ষা দফতরের কারিগরি শিক্ষা বিভাগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলিকে বিকেন্দ্রীভূত কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আসন পূর্ণ করার নির্দেশ দিল।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চলতি সপ্তাহে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করবে বলে জানিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শূন্য আসন পূরণ করার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
গত বছর মোট ৩৬ হাজার আসনের মধ্যে ভর্তি হয়েছিল মাত্র ১৮ হাজারের বেশি আসন। ২০ হাজারের কাছাকাছি আসন ফাঁকা ছিল বলে রাজ্য জয়েন্ট এনট্রান্স বোর্ডের সূত্রের খবর। এ বছরও যে সেই ছবির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি, তা জানিয়েছে বোর্ড। তবে, গত বারের তুলনায় কিছু আসন ভর্তি বেশি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
রাজ্য জয়েন্ট এনট্রান্স বোর্ডের রেজিস্ট্রার দিব্যেন্দু কর বলেন, “এ বছর গত বছরের তুলনায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়েছে বেশি সংখ্যক পড়ুয়া। ৩৬ হাজারের বেশি আসনের মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। বিকেন্দ্রীভূত হওয়ার পর এই সংখ্যা আরও কিছুটা বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।”
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই ৪১৪টি আসনের মধ্যে বেশির ভাগ আসন ভর্তি হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়নি। ৫০টি আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। বিকেন্দ্রীভূত হওয়ার পরে তা কিছুটা পূর্ণ হবে বলে আশা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব অমিত রায় বলেন, “চলতি সপ্তাহে বিকেন্দ্রীভূত করার পরে আমরা ভর্তির আবেদন নেব। ৫০টি আসন ফাঁকা রয়েছে। আশা করছি এই পর্যায়ে সমস্তটাই পূরণ হয়ে যাবে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মোট পাঁচটি বিভাগ রয়েছে। সব ক'টিতেই আসন ফাঁকা রয়েছে কমবেশি।”
একই ছবি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও। ১৬টি বিভাগ রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। সেখানে জয়েন্ট বোর্ডের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়ার পর শূন্য আসন রয়ে গিয়েছে ১৪৪টির মতো। ২৪ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই শূন্য আসন পূরণের আবেদন নেওয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ডিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সমস্ত বিভাগেই কমবেশি শূন্য আসন রয়েছে। জয়েন্ট বোর্ডের মাধ্যমে ভর্তির পরে বিকেন্দ্রীভূত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি এই পর্বে সব আসন ভর্তি হয়ে যাবে।”
তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে গেলে জয়েন্টের পরীক্ষায় দশ হাজারের মধ্যে র্যাঙ্ক থাকতে হবে পরীক্ষার্থীদের। সংরক্ষিত শ্রেণিভুক্তদের ক্ষেত্রে অবশ্য এই নিয়ম থাকছে না বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy