Advertisement
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
WBBSE ad hoc committee

‘আজাদ কাশ্মীর’ সংক্রান্ত বিতর্কিত প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষিকার নাম মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কমিটিতে

২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারের ইতিহাসের প্রশ্নে আজাদ কাশ্মীরের উল্লেখ কেন করা হয়েছে, তার জন্য গুড়দহ ঋষি অরবিন্দ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষিকা সীমা মণ্ডলের কাছ থেকে জবাবদিহি চান মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।

সংগৃহীত চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:২১
Share: Save:

গত বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের টেস্ট পেপারে ‘আজাদ কাশ্মীর’-এর উল্লেখ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। পরবর্তী কালে পর্ষদের তরফ থেকে ইতিহাসে এই প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত, টেস্ট পেপার এক্সপার্ট শিক্ষিকাকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়, কী ভাবে এই ভুল হল। পাশাপাশি, তাঁকে সতর্ক করাও হয়েছিল। আর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই যে শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল, তাঁকেই স্থান দেওয়া হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির সদস্য হিসাবে। আর তা নিয়ে শিক্ষামহলে প্রশ্ন উঠেছে।

২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারের ইতিহাসের প্রশ্নে আজাদ কাশ্মীরের উল্লেখ কেন করা হয়েছে, তার জন্য গুড়দহ ঋষি অরবিন্দ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষিকা সীমা মণ্ডলের কাছ থেকে জবাবদিহি চান মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তার কারণ, এই শিক্ষিকা ইতিহাস বিষয়ক প্রশ্নে এক্সপার্ট কমিটির সদস্য ছিলেন।

সেখানে বোর্ডের তরফ থেকে উল্লেখ করা হয়েছিল, যেখানে মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমে কোথাও এই ধরনের বিষয় উল্লেখ নেই, সেখানে টেস্ট পেপারে ইতিহাসের প্রশ্নে আজাদ কাশ্মীরের উল্লেখ করা হল কেন? এতে লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর কাছে ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়েছে। এবং তা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিধি-বিরোধী।

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “এই সরকারের কাছ থেকে এর থেকে আর বেশি কিছু আশা করা যায় না। ভুল থেকে মানুষ শিক্ষা নেয়। কিন্তু এদের বিন্দুমাত্র সদিচ্ছা নেই। তা না হলে এ রকম বিতর্কিত এক জন শিক্ষিকাকে এই কমিটিতে রাখে কী করে! সরকার হয়তো সমাজের একাংশকে বার্তা দিতে চাইছে। সরকারের সঙ্গে থাকলে যা ইচ্ছে তা-ই করলেও সাত খুন মাফ।”

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর। আর তার আগেই শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১১ জন সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে এবং আর‌ও এক বছরের কমিটির জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সদস্য তালিকায় সেই শিক্ষিকার নাম রয়েছে। তা নিয়েই তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক। শিক্ষক সংগঠনগুলির একাংশের বক্তব্য, দীর্ঘ দিন ধরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কমিটি গঠনের জন্য কোনও নির্বাচন হচ্ছে না। কমিটিতে শিক্ষক সংগঠনগুলির কোনও প্রতিনিধিও রাখা হচ্ছে না। যা শিক্ষাক্ষেত্রের সার্বিক ক্ষতি করছে।

শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ বাড়ল আরও এক বছর। দীর্ঘ দিন নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ী কমিটি নির্বাচিত হচ্ছে না। এ নিয়ে বহু বার আমরা দাবি জানিয়েছি। তার জন্য কোনও শিক্ষক প্রতিনিধি নেই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষার সার্বিক দিক তুলে ধরার জায়গা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা। বহু ক্ষেত্রে একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ী কমিটি গঠন করা হোক।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

WBBSE
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE