মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে নবান্নের নির্দেশিকা বন দফতরকে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পর্ষদ ও সংসদের আধিকারিকদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। যে অঞ্চলগুলিতে বন্যপ্রাণীদের আক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সেখানে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল সংলগ্ন টাকিমারি এলাকায় হাতির হামলায় প্রাণ যায় অর্জুন দাস নামে এক পরীক্ষার্থীর।
এর পরই নড়েচড়ে বসে প্রসাশন। গত বছর থেকেই রুটম্যাপ, বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা, পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য ইলেকট্রিক ফেন্সিং রয়েছে এমন পথকেই চিহ্নিত করার মতো পদক্ষেপ করেছিল বন দফতর। সেই মতো চলতি বছরে আরও বেশি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমনিতেই সারা বছর হাতির দেখা পাওয়া যায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল, বাঁকুড়ার পাবয়া, ডাকাইসিনি, কালপাইনি-সহ জঙ্গলঘেরা বিভিন্ন গ্রামে। স্কুল-কলেজ থেকে বাজার, এমনকি, দৈনন্দিন কাজে যাতায়াতের পথে মাঝেমধ্যেই সাধারণ মানুষকে পড়তে হয় হাতির মুখে। বিভিন্ন সময় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসতে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের যাতে এরকম বিপত্তির সম্মুখীন না-হতে হয়, সে জন্য বন দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের বন দফতরের গাড়িতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পুলিশ সুপার তথা বিভিন্ন কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারদের থেকে জেনে নেওয়া হয় পরীক্ষার প্রস্তুতির খুঁটিনাটি। এ ছাড়াও, জেলার আধিকারিকদের ও বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও নবান্ন সূত্রে খবর। পরীক্ষা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জেলাশাসকদের সামনে তুলে ধরেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি।