শেষ হল উচ্চ প্রাথমিকের ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের তৃতীয় দফার কাউন্সেলিং। এই দফায় ৭২৪ জন চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হয়েছিল। যার মধ্যে অনুপস্থিত ও প্রত্যাখানের সংখ্যা ১৮১ জন। যার গড় অনুপাত ২৫ শতাংশ।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‘তৃতীয় দফার কাউন্সেলিংও শেষ হয়েছে নির্বিঘ্নে। সকল যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা যাতে সুযোগ পান, আমরা সে দিকে সদা সতর্ক। তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ে যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন এবং যাঁরা সুপারিশপত্র পাওয়ার পরে স্কুলে গিয়েও যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই সব মিলিয়ে মোট শূন্যপদের ভিত্তিতে চতুর্থ কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হবে প্রার্থীদের।’’
আরও পড়ুন:
৩১ জানুয়ারি শুক্রবার কাউন্সেলিংয়ে বাংলার জন্য ৬৩ জন প্রার্থীকে ডাকা হয়েছিল। যার মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১৬ জন। ইংরেজির জন্য ১২৯ জনকে ডাকা হয়েছিল, সেখানে ৫১ জন অনুপস্থিত ছিলেন। অন্যান্য মাধ্যম মিলিয়ে ১৯৯ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ৭০ জন, যার গড় ৩৫.১৭ শতাংশ। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২৮ জানুয়ারি থেকে।
আরও পড়ুন:
পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ-এর সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, “স্কুলে গিয়ে চাকরিতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রার্থীর সংখ্যা খুব কম নয়। আমরা খবর পাচ্ছি, প্রায় ২০০-র মতো চাকরিপ্রার্থী যোগদান করেননি। যা ৫ শতাংশের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের দাবি, তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের পরে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই মেধা তালিকার বাকি অপেক্ষমান ১৮৯৮ জন প্রার্থীকে ডাকা হোক।”
ইতিমধ্যেই প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় কাউন্সেলিং মিলিয়ে মোট ১২,৮০০ জন প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে। যার মধ্যে সুপারিশপত্র গ্রহণ করেছেন ৯,১৯৪ জন প্রার্থী। প্রথম দফার কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছিল ৮৭৪৯ জনকে। দ্বিতীয় দফায় ২৫৯৫ জনকে এবং তৃতীয় দফায় ডাকা হয় ৭২৪ জনকে। এখনও পর্যন্ত অপেক্ষামাণ প্রার্থী রয়েছেন ১৮৯৮ জন।