নিজস্ব চিত্র।
আলোর রোশনাইতে মোড়া দীপাবলির উদযাপন। এক দিকে ছোটরা মাতবে বাজি পোড়ানোয়, বড়রা অনেকেই কালী আরাধনায়। এক কোণে দাঁড়িয়ে সব কিছুই হয়তো দেখবেন বিশেষ ভাবে সক্ষম কেউ কেউ। চাইবেন, উদযাপনের আনন্দে সামিল হতে। কিন্তু কী ভাবে করা যায় তাঁদের ইচ্ছেপূরণ?
কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর দি এমপাওয়ারমেন্ট অফ পার্সনস উইথ ইন্টেলেকচুয়াল ডিজ়েবিলিটিস (এনইপিআইডি) সেই সুযোগই করে দিচ্ছে। প্রতি বছর দীপাবলির আগে এই প্রতিষ্ঠান তার বিশেষ ভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে মেলার আয়োজন করে। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দীপাবলির আগের দিন, অর্থাৎ আজ, ৩০ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানের ১০ জন পড়ুয়া তাঁদের শিক্ষকদের সহায়তায় মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল। প্রদীপ, মোমবাতি, গয়না, কেক, মোমো-সহ আরও কত কী তার পসরায়! সব কিছুই ছাত্রছাত্রীরা তৈরি করেছেন নিজের হাতে। তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন প্রতিষ্ঠানের অফিসার ইনচার্জ টি মুগেস-সহ সমগ্র ফ্যাকাল্টি এবং অভিভাবকরাও।
প্রতি বছরই জুন মাস থেকে এনইপিআইডি-তে শুরু হয় ভোকেশনাল ট্রেনিংয়েএর ক্লাস। এ বছর ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে মোট ১৫০ জন বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তি এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানের লেকচারার ইন স্পেশাল এডুকেশন অলকানন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যখন ছাত্রছাত্রীদের বয়স ১৬-১৭ বছরের মধ্যে থাকে, তখনই তাদের ভোকেশনাল ট্রেনিং-এ যুক্ত করার চেষ্টা হয়। এই ধরনের মেলা প্রতি বছরই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আগে ছাত্রছাত্রীরা আয়োজন করে থাকে। মূলত তাঁদের স্বনির্ভর করতেই এই প্রচেষ্টা।
অলকানন্দা আরও বলেন, ‘‘আমরা চাই এই ছাত্রছাত্রীরা কোনও ভাবেই কোনও কিছু থেকে যেন বঞ্চিত না হয়। আমরা বাকি সবাই যেমন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আনন্দ করতে পারি মন খুলে, এরাও যেন তা করতে পারে। আমাদের সকলের সঙ্গে একই ভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ওদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতেই এমন প্রচেষ্টার আয়োজন।’’
এই ছাত্রছাত্রীদের কেউ হয়তো প্রদীপে রং করতে ভালবাসেন, কেউ আবার নিখুঁত গয়না তৈরিতে পটু। তাঁদের কাছে এগুলোই উদযাপন। যাঁদের কাছে ধৈর্য অনেক বড় পরীক্ষা, তাঁরা এমন মেলার সময়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতেও এতটুকু অধৈর্য হন না। খুশির মেজাজে নিজেদের হাতে তৈরি জিনিস বিক্রিই তাদের উৎসব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy