প্রতীকী ছবি।
আর কিছু ঘণ্টার অপেক্ষা। তার পরই শুরু হতে চলেছে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই বছর সাত লক্ষ ৯০ হাজার পরীক্ষার্থী মোট ২,৩৪১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে চলেছে। প্রতিটি পরীক্ষার্থীর ভাল নম্বরের উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিয়েছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলের প্রধান স্বামী ইষ্টেশানন্দ।
এই মুহূর্তে প্রস্তুতি সব শিক্ষার্থীরই ভাল করে নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই এই সময় সব থেকে প্রয়োজন একাগ্রতা। পরীক্ষায় সাফল্য আনার জন্য একাগ্রতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উচ্চ মাধ্যমিক জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা। এই পরীক্ষার ফলাফল জীবনের সব ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। তাই এই সময় সচেতন থাকা প্রয়োজন। ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে সচেতন ভাবে মনোযোগ সহকারে প্রশ্নের উত্তর লেখা প্রয়োজন।
নিজের স্কুলের বাইরে গিয়ে অন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হয় পড়ুয়াদের। স্বভাবতই, অন্য পরিবেশ, অপরিচিত শিক্ষকদের সামনে পরীক্ষা দিয়ে হয়। তাই পরীক্ষাকেন্দ্রে সুশৃঙ্খলা বজায় রেখে সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা দেওয়া দরকার।
শেষ মুহূর্তে পড়ুয়াদের বিগত বছরের প্রশ্নপত্র, বিভিন্ন স্কুলের টেস্টের প্রশ্নপত্রগুলি তিন ঘণ্টা সময় ধরে বারবার অভ্যাস করা প্রয়োজন। সব বিষয়ের ক্ষেত্রেই এই অভ্যাস করা প্রয়োজনীয়।
উচ্চ মাধ্যমিকে বর্তমান সময় নম্বর তোলার প্রচুর জায়গা রয়েছে। এমসিকিউ প্রশ্ন, ছোট প্রশ্ন, দু’নম্বরের প্রশ্নে সঠিক উত্তর দিলেই সম্পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়।
একজন পরীক্ষকের কাছে প্রচুর খাতা যায়। এই সময় একজন পরীক্ষার্থীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাতাই পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। যে বিষয়গুলিতে বেশি লিখতে হয় (বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি বা ইতিহাস, ভূগোল) সেগুলি অতি অবশ্যই পরিচ্ছন্ন হাতের লেখায় লিখতে হবে। অযাচিত কাটাকুটি না করাই শ্রেয়। কোনও ভুল লেখা বাদ দিতে হলে শুধু মাত্র একটি বারই পেন দিয়ে দাগ কাটতে হবে। খাতার চারিদিকে লাইন টানা প্রয়োজন।
সারা বছরের পড়াশোনার ফল পরীক্ষার খাতাতেই প্রকাশ পায়। তাই পরীক্ষার সময় সঠিক সম্পাদনা প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে বাড়িতে সময় ধরে মক টেস্ট অভ্যাস করা দরকার। তা হলে পরীক্ষার সময় কোনও সমস্যায় পড়তে হয় না। অতিরিক্ত কাগজ নিলে তা প্রয়োজন মতো যুক্ত করা দরকার।
সময় খুবই কম। তাই, এখনও কোনও ছোট বা বড় প্রশ্ন নিয়ে সন্দেহ থাকলে শিক্ষকদের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া শ্রেয়।
সব শেষে আবারও বলি, মনোযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় হালকা জাতীয় খাবার খাওয়াই শ্রেয়। প্রয়োজনে বিকেলে খেলার মাঠে যেতে হবে। মন এবং শরীর সুস্থ রাখা দরকার। প্রয়োজনে ধ্যানাভ্যাস করা যেতে পারে। একজন সফল পরীক্ষার্থীর পিছনে শুধুমাত্র পরিশ্রম থাকে না। সে পরীক্ষাকেন্দ্রে কেমন পারফর্ম করছে একই সঙ্গে তাঁর কতটা মানসিক শক্তি রয়েছে সে কী ভাবে সুন্দর এবং নির্ভুল ভাবে লিখে আসছে এই সবকিছুই সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সময় মনোযোগ সহকারে সময় ধরে প্রশ্নপত্র অভ্যাস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy