সিভিতেই প্রাথমিক পরিচয়। প্রতীকী ছবি।
সিভি, অর্থাৎ ইংরেজিতে যাকে কারিকুলাম ভিটে বলা হয়, যার সাহায্যে পড়ুয়াদের পেশাদার জীবনে প্রবেশের পথ সুগম হয়ে ওঠে। এই সিভি ঠিক কী কী বিষয় মাথায় রেখে তৈরি করা উচিত, বিশেষত যারা সদ্য মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পথ পেরিয়ে এসেছেন। এক্ষেত্রে তাঁদের ফ্রেশারস অথবা নবীন পেশাদার হিসেবে গ্রাহ্য করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ যাদের আক্ষরিক অর্থে সে ভাবে কোনও পেশার অভিজ্ঞতা নেই। তাই পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে সিভি তৈরি করার নিয়মগুলি একটু ভালো ভাবে জেনে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন?
১. বানান কোনও ভাবেই ভুল হওয়া কাম্য নয়।
২. সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য পেশ করা আবশ্যিক।
৩. একসঙ্গে বিভিন্ন ধরণের রঙে লেখা যাবে না।
৪. একসঙ্গে বিভিন্ন ধরণের ফন্ট ব্যবহার করা যাবে না।
৫. প্রয়োজনে ছোট ছোট বাক্য ব্যবহার করতে হবে।
৬. সহজ ভাষায় লেখা আবশ্যিক।
৭. অতিরঞ্জিত বক্তব্য একেবারেই নয়।
৮. অনুমতি ছাড়া কোনও ব্যক্তির রেফারেন্স দেওয়া যাবে না।
৯. অল্প পরিচিত কোনও ব্যক্তির রেফারেন্স দেওয়া যাবে না।
১০. শখ সম্পর্কে অসত্য বলা যাবে না।
তথ্য সম্পর্কে সচেতনতা প্রয়োজন
এছাড়াও একজন ফ্রেশারস হিসেবে সিভির শুরুতেই নাম, সম্পূর্ণ ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেল আইডি, ব্লাড গ্রুপ, শেষ প্রাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে উল্লেখ করতে হবে। এর পরই কেরিয়ার অবজেক্টিভ সম্পর্কে নিজস্ব মতামত পেশ করতে হবে প্রার্থীকে। এই মতামতই তাঁর পেশাদার জীবনের প্রতি কেমন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, এবং সে সহকর্মী থেকে শুরু করে নিজের বসের কাছ থেকেঠিক কি ধরণের প্রত্যাশা রাখছেন, সেই বিষয়ে ইন্টারভিউয়ারদের ধারণা স্পষ্ট করে তুলতে সাহায্য করবে।
ছবির ক্ষেত্রে কী করণীয়?
ফর্মাল পোশাকে একটি পাসপোর্ট সাইজ ফটো রাখলে আবেদন গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা একটু হলেও বাড়ে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, সেলফি কিংবা ক্যাজুয়াল সময়ে তোলা ছবি যেন সিভিতে না দেওয়া হয়। এতে আবেদনকারী সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব তৈরি হতে পারে।
দক্ষতার বিষয়ে তথ্য আবশ্যিক
স্কিলস বা দক্ষতা হিসেবে নবীন চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের কাজ করার ক্ষমতা সম্পর্কে একটি ধারণা পেশ করতে পারেন নিজের সিভিতে। অর্থাৎ তিনি যদি টিম ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে স্কুল বা কলেজের কোনও প্রজেক্ট বা ওয়ার্কশপের দায়ভার সামলে থাকেন, সেক্ষেত্রে সেই অভিজ্ঞতার উল্লেখ করতে পারেন এই নির্দিষ্ট কলামে। এর পাশাপাশি লিখতে পারা, দলবদ্ধভাবে কথা বলে কোনও কাজ করে নেওয়া, অন্য কোনও ভাষায় কাজ করার দক্ষতার কথাও উল্লেখ করা যেতে পারে এই বিশেষ কলামে।
এই সমস্ত বিষয়গুলির কথা মাথায় রেখে যদি সিভি তৈরি করা হয়, সে ক্ষেত্রে যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, তিনি প্রার্থীর সিভি দেখে সন্তুষ্ঠ হবেন। পাশাপাশি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে প্রার্থীর কথা শুনতে আগ্রহী হবেন। নিজের বিষয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী থাকবেন চাকরিপ্রার্থীরাও। তাই একটি সাজানো গোছানো সিভি পড়ুয়াদের ভবিষ্যতে পেশাদার জীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy